ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

ফেনী পৌর নির্বাচন

আরও এক কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৫
আরও এক কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন

ফেনী: ফেনী পৌরসভায় আরও একজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন।

মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) বিকেলে অপর একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকের স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নির্বাচনের আপিল কর্মকর্তা ওই কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।



এ নিয়ে ফেনী পৌরসভায় একজন মেয়র, ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৬ এবং ৬টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছেন। তারা সবাই  আওয়ামী লীগ মনোনীত ও সমর্থিত প্রার্থী।

ফেনী পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে গত ৩ ডিসেম্বর আমির হোসেন বাহার, ওমর ফারুক ও আরিফুর রহমান ভূঁঞাসহ তিনজন মনোনয়নপত্র জমা দেন।

৬ ডিসেম্বর যাচাই বাছাইকালে আরিফুর রহমান ভূঁঞার হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র  বাতিল করেন। এ সময় প্রার্থী আমির হোসেন বাহার অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ওমর ফারুকের মনোনয়নপত্রের সমর্থক বদরুল আলম বাবলুর স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ করেন।

কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক শুনানি শেষে অভিযোগটি খারিজ করে দেন। এরপর আমির হোসেন বাহার নির্বাচনের আপিল কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে আবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ওমর ফারুকের মনোনয়নপত্রের সমর্থক বদরুল আলম বাবলুর স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ করেন।

আপিল কর্মকর্তা একজন নির্বাহী হাকিমের মাধ্যমে সরেজমিন তদন্ত শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আপিল শুনানি করেন। এসময়  অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিনি ওমর ফারুকের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

আপিল কর্মকর্তার একান্ত সহকারী দিপক পাল ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ওমর ফারুকের মনোনয়নপত্র বাতিলের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ফেনী পৌরসভায় অবশিষ্ট দুটি সাধারণ ওয়ার্ড এবং দুটি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে কোনো প্রার্থী তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে ফেনী পৌরসভার এ ওয়ার্ডগুলিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ফেনী পৌরসভায় ১৮টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬জন এবং ৬টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের চারটিতে সহ ২৪ জনের মধ্যে ২০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।

এছাড়া পরশুরাম পৌরসভায় মেয়র এবং ৯টি সাধারণ ওয়ার্ড ও একটি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে মোট ১০জন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছেন। এ পৌরসভায় দুটি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে এখনও দু’জন করে মোট চার জন এখন নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।

দাগনভূঁঞা পৌরসভার এখনও আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ছাড়া ৯টির সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ৪টি এবং তিনটি সংরক্ষিত সবকটিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একজন করে প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার পথে। বাকী ৫টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৯জন প্রার্থী রয়েছেন। তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে দাগনভূঁঞা পৌরসভায় শুধু মেয়র ও পাঁচটি সাধারণ ওয়ার্ডে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এ নিয়ে ফেনী সদর, পরশুরাম ও দাগনভূঁঞাসহ জেলার তিনটি পৌরসভায় দু’জন মেয়র ও ৩৭ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। তারা সবাই আওয়ামী লীগ মনোনীত ও সমর্থিত প্রার্থী।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৫
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।