কাঁকনহাট, রাজশাহী থেকে: সরকারি দলের প্রার্থীকে ভোট না দিলে, এলাকার উন্নয়ন হয় না। অন্য প্রার্থী জয়ী হলেও সরকারি বরাদ্দ পায় না।
মহাদেবপুরের বৃদ্ধ আলমগীর বলেন, এই ওয়ার্ডে ১০৬৬ ভোট রয়েছে। আব্দুল মজিদ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। তাকেই ভোট দেওয়া হবে। কারণ, তিনি সরকারি দলের লোক, বরাদ্দ আনতে পারবেন।
প্রবীণ এই ভোটার আরও বলেন, আবার ৫ বছর পর যে দল সরকারে থাকবে, তখন তাদের প্রার্থীকেই ভোট দেবো। এখন দিন বদলেছে, মানুষ চালাক হয়েছে।
তিলাহাড়ির তরুণ ভোটার মিলন বলেন, এখানে বিএনপির প্রার্থী হাফিজুর রহমান হাফিজ। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই প্রার্থীই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, সাপ্লাই পানি সরবরাহ ও রাস্তার পাশে সরু খাল করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। তবে বিএনপির প্রার্থী ঢাকায় থাকায় অনেকের সঙ্গেই তার পরিচয় কম।
কাঁকনহাট পৌরসভার বয়স ১৪ বছর। পুরো সময় ধরেই মেয়র হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মজিদ। তিনি কী কী উন্নয়ন করেছেন জানতে চাইলে স্থানীয় ভোটার মফিজউদ্দিন বলেন, মসজিদ করে দিয়েছেন, গ্রামের ভেতর দিয়ে একটা রাস্তা করে দিয়েছেন, বিদ্যুতের তার টেনেছেন।
আব্দুল মালেক নামে আরেক ভোটার বলেন, এখানে মানুষ এখন জানে, উন্নয়নের জন্য সরকারি দলের লোককেই জয়ী করতে হবে।
এ কারণে বিএনপির সমর্থক হলেও আব্দুল মালেক নৌকায় ভোট দেবেন। কারণ পৌরসভা নির্বাচনে এলাকার উন্নয়নই বড় কথা। বিএনপির প্রার্থীকে তো আওয়ামী লীগ সরকার অর্থ বরাদ্দ দেবে না বলেই মনে করেন এই ভোটার।
তবে আব্দুল সাত্তার বলেন, এখানে বিএনপির প্রার্থী এসেছিলেন, আওয়ামী লীগের সমর্থকরা তাকে এলাকায় ঢুকতে দেয়নি। নির্বাচনের দিন মানুষ হয়তো ধানের শীষেই ভোট দেবে তবে এখন ভয়ে সেই কথা বলছে না।
এরপর চায়ের দোকানে শুরু হয়ে যায় তর্ক-বিতর্ক। নিরাপদেই ঘটনাস্থল ছাড়ে বাংলানিউজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
এমএন/এমজেএফ/