জীবননগর-দর্শনা (চুয়াডাঙ্গা) থেকে: বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকায় চুয়াডাঙ্গা সদর, জীবননগর, দর্শনা ও আলমডাঙ্গা পৌরসভায় বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীরা আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে ছিলেন আত্মবিশ্বাসী।
তিন সিটিং মেয়রসহ চার প্রার্থীকেই জিতিয়ে আনতে তেমন কোনো বেগ পেতে হত না বলে বিশ্বাস বিএনপি নেতাদের।
সীমান্ত জেলা চুয়াডাঙ্গার জীবননগর-দর্শনা পৌরসভা ঘুরে জানা গেছে, এখানে বিএনপির পাশাপাশি ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতও প্রার্থী দিয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তো বটেই, নির্বাচনে জিততে হলে জোট শরিক জামায়াত মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হবে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের।
সাধারণ ভোটার ও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জীবননগর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দুইজন প্রার্থী থাকায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাজী মো. নোয়াব আলীর নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়াটা ছিল সহজ।
কিন্তু জগ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে নামা জামায়াত প্রার্থী ছায়েদুর রমান বিএনপির সব হিসাব বদলে দিয়েছে। এই পৌরসভায় জিততে হলে বিএনপি প্রার্থীকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. নাসির উদ্দিনের পাশাপাশি জোট শরিক জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ছায়েদুর রহমানের বিরুদ্ধে লড়তে হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাজী মো. নোয়াব আলী বলেন, ওরা আমাদের সঙ্গে বেঈমানী করেছে। ওদের জন্য আমাদের বিজয় কিছুটা হলেও কঠিন হয়ে পড়েছে।
দর্শনা পৌরসভায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সিটিং মেয়র মো. মহিদুল ইসলাম আছেন মহাটেনশনে। এই পৌরসভায় আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী দেওয়ার বিএনপি প্রার্থীর জয় এমনিতেই কঠিন হয় পড়েছে । তার ওপর জোট শরিক জামায়াত আলাদা প্রার্থী দেওয়ায় নৌকার পাশাপাশি জামায়াতের জগ প্রতীকের সঙ্গে লড়তে হবে বিএনপিকে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. মহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, জামায়াত হল বিএনপির জন্য বিষফোঁড়া। এই জামায়াতকে এখনো কেন ম্যাডাম সঙ্গে রেখেছেন, তা বুঝতে পারছি না। এরা বিএনপিকে শেষ করে দেবে।
তবে বিএনপির কোনো কোনো নেতা মনে করছেন, জোট শরিক হলেও স্থানীয় রাজনীতিতে জামায়াত তারা স্বার্থ হাসিলের জন্য কখনো কখনো আওয়ামী লীগের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে চলে। তারা অর্থের বিনিময়ে এবং মামলা-হামলা থেকে বাঁচতে আওয়ামী লীগের কথা মত প্রার্থী দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী আসকার আলী বাংলানিউজকে বলেন, জামায়াতের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য এ কথা বলা হচ্ছে। সরকারের সঙ্গে আমাদের কোনো গোপন সমঝোতা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
এজেড/বিএস
** ‘যোগ্য লোকের পক্ষ নেব’
** আওয়ামী লীগ ৪, বিএনপি ১