লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের তিন পৌরসভার নির্বাচন চলছে। তবে সবার দৃষ্টি রামগতি পৌরসভার দিকে।
নির্বাচনী মাঠে নৌকা-লাঙলে দ্বন্দ্ব চলছে প্রকাশ্যে। এ সুযোগ কৌশলে কাজে লাগাতে চেষ্টা করছে বিএনপি।
রামগতি পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী তিনজন। আওয়ামী লীগ থেকে মেজবাহ উদ্দিন মেজু। বিএনপি প্রার্থী বর্তমান মেয়র শাহেদ আলী পটু ও জাতীয় পার্টির আজাদ উদ্দিন চৌধুরী।
আজাদ উদ্দিন চৌধুরী আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে, জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে লাঙল প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন। এ মাঠে লাঙলের ফলন ভালো না হলেও ব্যক্তি আজাদ জনপ্রিয়।
আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা স্থানীয় জাতীয় পার্টির প্রার্থীর প্রচারণায় হামলা ও পথ সভায় বাধা দিয়েছে বলে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও লক্ষ্মীপুর জেলা জাতীয় প্রার্থীর সভাপতি ও লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও লক্ষ্মীপুরের একাংশের) সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নোমানকে ব্যক্তিগত কাজে রামগতি এলে তাকে ধাওয়া করে যুব ও ছাত্রলীগের কর্মীরা।
জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী আজাদ উদ্দিন চৌধুরীর আগের একটি মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর হলে ২০ ডিসেম্বর (রোববার) দুপুরে কারাগারে যেতে হয় তাকে। এ নিয়ে নির্বাচনী মাঠে উঠেছে নানা সমালোচনা ঝড়।
তবে বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) তাকে আদালত জামিন দেন। মূলত এসব কারণেই রামগতি পৌর নির্বাচন এখন আলোচনার তুঙ্গে।
বরাবরই রামগতিতে বিএনপির অবস্থান ভালো। তবে নদী ভাঙন থেকে পৌর এলাকাকে রক্ষা করায় আওয়ামী লীগের ভোট বেড়েছে। বিগত সময় রামগতিতে জাতীয় পার্টির হাল ধরার মত কেউ ছিলেন না। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনায়ন না পেয়ে আজাদ চৌধুরী জাতীয় পার্টিতে যোগ দিলে লাঙলের অবস্থান তৈরি হয়। সে কারণেই নৌকা ও লাঙলের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপি প্রার্থী শাহেদ আলী পটু ভোটের মাঠে প্রতিশ্রুতিতে আছেন এখনো তর্কে বা দ্বন্দ্বে যাননি। এখানকার ধানের শীষের সমর্থকরা মুখে কুলুপ এটে বসে আছেন। তবে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন চান। নিরপেক্ষ নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় হবে এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় বিএনপি।
এদিকে আওয়ামী লীগ মনে করে বিএনপি উন্নয়ন করে না, আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ভোট দিলে উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। সে কারণে ভোটারগণ নৌকায় ভোট দিবে।
জাতীয় পার্টির সমর্থকরা মনে করেন এখন লাঙলের মৌসুম, সাধারণ মানুষ ভোট দিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে জয়ী করবে।
রামগতি উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, পৌর নির্বাচনে রামগতি থেকে তিনজন মেয়র, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ১০ জন ও ৩২ জন সাধারণ কাউন্সিলরসহ মোট ৪৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ পৌরসভায় ভোটার ১৭ হাজার ৩৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ৯০৯ জন ও নারী ভোটার ভোটার ৮ হাজার ৪৬৭ জন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫
আরএ