ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

পৌর নির্বাচন

শ্রীপুরে ধানের শীষে ভোট চাইছেন কেন্দ্রীয় নেতারা

ডিস্টিক্ট করেসপন্ডেট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫
শ্রীপুরে ধানের শীষে ভোট চাইছেন কেন্দ্রীয় নেতারা

গাজীপুর: শাল-গজারী বন ঘেরা ভাওয়াল রাজার দেশ পরিচিত গাজীপুরের শ্রীপুর, পৌরসভা হিসেবে খ্যাতি লাভ করে ২০০০সালে। আয়তন ৪৬.৯৭ বর্গ কিলোমিটার দিক থেকেও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পৌরসভার তৃতীয় নির্বাচন এটি।



প্রায় ৫৮ হাজার ভোটার আগামী বুধবার (৩০ডিসেম্বর) পৌরসভার নির্বাচনে তাদের  ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। গাজীপুরের তিনটি পৌরসভার মধ্যে শুধু শ্রীপুর পৌরসভাতেই নির্বাচন হচ্ছে।
 
শ্রীপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন চারজন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আনিছুর রহমান আনিছ, বিএনপির মো. শহিদুল্লাহ শহিদ, জাসদের আবুল কাশেম ও স্বতন্ত্র মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ।

এছাড়া নারী কাউন্সিলর পদে ১২ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৫জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
 
নির্বাচনী মাঠে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের নেতাদের কম দেখা গেলেও বিএনপির মেয়র প্রার্থীর পক্ষে জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয়সহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘মনোনয়ন পাওয়ার পর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও পৌর আওয়ামী লীগের সব নেতার সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি। তারা মাঠে কাজ করার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু অনেকেই নানা রকম কাজ ও নানা রকম অজুহাত দেখিয়ে এখন পর্যন্ত গণসংযোগে নামেননি। ’
 
জানা যায়, দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ খ্যাত গাজীপুরের শ্রীপুর (গাজীপুর-৩) আসন থেকে পাঁচ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. রহমত আলী। বয়স ভারে দুর্বল ও কেন্দ্রীয় রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় শ্রীপুরের আওয়ামী লীগের মূল রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেন তার ছেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক অ্যাড. জামিল হাসান দূর্জয়।
নির্বাচনের অনুমতি পেয়ে আনিছুর রহমান সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় কোনো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর সঙ্গেই যোগাযোগ বা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় অংশগ্রহনের জন্য অনুরোধ করেননি বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী এক নেতা।

তিনি বলেন, আনিছুর রহমানের অহংকার, অহমিকা ও দাম্ভিকতা নৌকার জন্য খারাপ বয়ে আনবে। নৌকাতো দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার, কারও ব্যক্তিগত নয়, তাই ব্যক্তি হিসেবে নয় শেখ হাসিনার নৌকার জন্য কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন ওই নেতা।
 
এব্যাপারে শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. শামসুল আলম প্রধানের মোবাইলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
 
আবার বিপরীত চিত্র লক্ষ্য করা গেছে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে। কয়েকটি অংশে বিভক্ত শ্রীপুর বিএনপি পৌর নির্বাচনকে ঘিরে কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে স্থানীয় বিএনপির সকল নেতা-কর্মীই কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থী ও তাদের সমর্থকেরা ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন। প্রত্যেকটি গ্রুপই একাট্টা হয়ে পড়েছে ধানের শীষের প্রতীককে জয়ী করার জন্য।
 
ইতিমধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ্, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ কেন্দ্রীয় অনেক নেতাই বিএনপি প্রার্থীকে জেতানোর জন্য মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
 
বিজয়ের লক্ষ্য নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন উল্লেখ করে শ্রীপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল্লাহ শহীদ বলেন, ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারলে ইনশাল্লাহ আমি বিজয়ী হয়ে পৌরবাসীর আকাঙ্খিত উন্নয়ন ও পৌরসেবা নিশ্চিত করতে পারবো।
 
৯টি ওয়ার্ডের এ পৌরসভায় মেয়র ছাড়াও ৯ জন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনে ৩ জন নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন। সাধারণ আসনে ৪৮জন এবং সংরক্ষিত আসনে ১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।  
 
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, ২০০০ সালের ২৮ নভেম্বর শ্রীপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এবার হবে এ পৌরসভার তৃতীয় নির্বাচন। আয়তনের এ পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা হলো ৫৭ হাজার ৯৬১। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৯ হাজার ২২৬ জন এবং নারী ভোটার ২৮ হাজার ৭৩৫ জন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫
বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।