ঢাকা: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে ২ হাজার ২৯ জন সন্ত্রাসীকে চিহ্নিত করেছে একটি গোয়েন্দা সংস্থা। যাদের একটি তালিকা নির্বাচন কমিশনেও (ইসি) পাঠানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌর নির্বাচনে বড় দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী রয়েছে বিএনপির এবং সবচেয়ে কম রয়েছে জাতীয় পার্টির।
গোয়েন্দা সংস্থাটির প্রতিবেদন থেকে দেখা গেছে, বিএনপি ১ হাজর ১২১ জন, আওয়ামী লীগের ৫৬১ জন, জামায়াতের ২১১ জন, জাতীয় পার্টির ৪ জন, পিসিপি’র ১ জন, জেএসএস’র ১০ জন অন্যান্য ১২১ জন সন্ত্রাসী মাঠে সক্রিয় রয়েছে। এদের আশ্রয়দাতা বা গডফাদার ৬৩৭ জন। এদের মধ্যে বিএনপির ৩১২ জন, আওয়ামী লীগের ২১১ জন, জামায়াতের ৭৭ জন, পিসিপি’র ১ জন, জেএসএস’র ১ জন ও অন্যান্য ৩৫ জন।
এসব সন্ত্রাসীরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য হুমকিস্বরুপ। যাদের মধ্যে সরকারবিরোধী সন্ত্রাসীরা সংখ্যালঘু ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভোট প্রদান থেকে বিরত রাখতে পারেন। এছাড়া ওইসব চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ভোট ছিনতাই ও সহিংসতা ঘটাতে পারেন বলেও আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।
সন্ত্রাসীদের কাছে কাছে পাইপগান, রিভলবার, শ্যুটারগান, বন্দুক, পিস্তল, কাঁটা রাইফেল অস্ত্র রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে ইসি সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ওইসব চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ভোটের আগেই গ্রেফতারের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৪ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ ২০টি দল মেয়র পদে প্রার্থী দিয়েছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জামায়াতের প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন।
** ২ এমপিকে হুঁশিয়ারি, ‘ইমিডিয়েট’ অ্যাকশনের নির্দেশ
** কালো তালিকায় ৩ মন্ত্রী, ২ প্রতিমন্ত্রী ও ১৯ এমপি
বাংলাদেশ সময়: ২২২৯ ঘন্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫
ইইউডি/এএসআর