ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

সারিয়াকান্দি পৌরসভা নির্বাচন

সেকেন্ডে মন পাল্টায় তাই আও করা যাবে না!

বেলাল হোসেন ও রফিকুল ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৫
সেকেন্ডে মন পাল্টায় তাই আও করা যাবে না! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সারিয়াকান্দি থেকে ফিরে: ভোটের সময় সবাই ভোট নিতে আসেন। ভোট ফুরিয়ে গেলে আর কারো দেখা মেলে না।

ক্ষমতায় গেলে সবাই গরিবের কথা ভুলে যান। ফলে গরিবের ভোট নিয়ে এতো চিন্তা নাই। পেটের খাবার জোটাতেই তারা ব্যস্ত।
 
তাদেরই একজন চা দোকানদার আঙ্গুর। এবারে মেয়র পদে কাকে ভোট দেবেন- জানতে চাইলে মুচকি হেসে তিনি বলেন, সেকেন্ডে মন পাল্টায়। তাই কাকে ভোট দেবো তা নিয়ে আও করা যাবে না। সময় আসলে তখন দেখা যাবে। ভোটের আগ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিলেই হবে। তখন যাকে ভালো লাগবে তাকে ভোট দেবো, বলেন এ চা বিক্রেতা।

সত্তরোর্ধ্ব দুদু প্রামাণিক। তিনিও পেশায় চা বিক্রেতা। চা বিক্রির আয়ে চলে সংসার। তিনি বলেন, ভোটের দিনই ভোট নিয়ে চিন্তা ভাবনা করলে চলবে। এখন মুখে টেপ দিয়ে আছি।

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বগুড়ার সারিয়াকান্দি পৌরসভার নির্বাচনী হালচাল জানতে সরেজমিনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা হলে এমনই সব মন্তব্য পাওয়া যায়।

ব্যবসায়ী রিপন বাংলানিউজকে জানান, এই পৌরসভার উন্নয়ন করতে হবে। সব মানুষের পাশে সবসময় থাকতে হবে। শতভাগ নাগরিক সেবা দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে ধানের শীষ বা নৌকা প্রতীক কোনো বিষয় নয়। যিনি এসব করতে পারবেন তাকেই ভোট দেবো।
 
ব্যবসায়ী দুলাল মণ্ডল বাংলানিউজকে জানান, তিনি নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চান। শান্তিতে ভোট দিতে চান। পৌরসভার সব ধরনের উন্নয়ন দেখতে চান।
 
মুদি দোকানদার রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমান সরকার দেশে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করছে। এলাকার এমপি আব্দুল মান্নান সাধ্যানুযায়ী এলাকায় উন্নয়ন করছেন।
 
পরিবহন ব্যবসায়ী আব্দুস সোবহান বাংলানিউজকে জানান, অনেকদিন হলো ভোট দিতে পারি না। সামনে পৌরসভার ভোট। কিন্তু শঙ্কায় আছি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারলেই খুশি। এই এলাকায় ধানের শীষের প্রভাব অনেক বেশি। এছাড়া বিএনপির মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র তার আমলে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করছেন।

এসব ব্যক্তিরা বাংলানিউজকে বলেন, এই পৌরসভায় মেয়র পদে বিএনপির ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী একজন করে। তবে আওয়ামী লীগের দুই জন বিদ্রোহী প্রার্থী মেয়র পদে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়াও দু’জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।
 
এসব হিসেব কষলে বিএনপির প্রার্থী সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন। আবার প্রচার-প্রচারণার দিক থেকে বিএনপির প্রার্থী কিছুটা পিছিয়ে। কেননা আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে বিএনপির প্রার্থীকে এই নির্বাচনে আসতে বেশ সময় আদালতের বারান্দায় ঘুরতে হয়েছে। এ সুযোগে আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রচারণায় এগিয়ে গেছেন। তবে এবার নৌকা ও ধানের শীষের মধ্যে তীব্র ভোটযুদ্ধ হবে বলে মনে করেন তারা।      
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৫
এমবিএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।