বদরগঞ্জ (রংপুর) থেকে: গোটা রংপুর বিভাগের মধ্যে কেবল বদরগঞ্জেই পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবার। ফলে সবার দৃষ্টি সেদিকেই।
তার ওপর আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী উত্তম সাহার সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আজিজুল হকের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যাওয়ায় কৌতূহল বেড়ে গেছে অনেকাংশে।
বদরগঞ্জ পৌরসভায় মোট ভোটারের সংখ্যা এবার ১৭ হাজার ৪৮১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮ হাজার ৭৭৭। বাকি ৮ হাজার ৭০৪ জন। হিসাব বলছে- পুরুষের চেয়ে ৭৩ জন নারী ভোটার বেশি। প্রার্থী হিসেবেও প্রতিটি ক্ষেত্রে আছেন নারী।
সংরক্ষিত তিনটি আসনে নারী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ১৫ জন। তাদের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন সাধারণ নারীরা। তরুণী ও মধ্যবয়সী নারীরা লিফলেট বিলির কাজও করছেন আনন্দ নিয়ে।
মেয়র পদেও আছেন একজন নারী- ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) শামীম আরা বেগম। তার প্রতীক আম। অবশ্য তার পাশাপাশি অন্য যে আরও তিনজন লড়ছেন তারা নৌকা ও নারকেল গাছের কাছে ধোপে টিকবেন না বলে জানান স্থানীয়রা।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলায় এসে একটা অভিযোগ বিভিন্ন এলাকায় পাওয়া গেলো। প্রার্থীদের তরফ থেকে নাকি ভোটারদের টাকা দেওয়া হচ্ছে! শুধু তাই নয়, সেই ভোটারদের মন যেন ঘুরে না যায়, সেজন্য দ্বিগুণ টাকা দিয়ে প্রার্থীরা নিযুক্ত করে রেখেছেন পাহারাদার! পাছে না আবার প্রতিপক্ষের দখলে চলে যায় ভোট। প্রতি ভোটার তদারকির জন্য রাখা হচ্ছে একজন করে প্রহরী।
এমনও গুঞ্জণ রয়েছে, শীতের প্রকোপ থেকে রেহাই পেতে মাথা আর গলা কানটুপি কিংবা মাফলারে প্যাঁচিয়ে রাখার সুবাদে একই ব্যক্তি একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন। যদিও এসবের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রাজনৈতিক কর্মী বাংলানিউজের বিভাগীয় স্টাফ করেসপন্ডেন্টকে জানালেন, প্রার্থীদের ব্যক্তিগত অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে গেলেই এর সত্যতা পাওয়া যাবে। কিন্তু সাংবাদিক টের পেয়ে গেলেই সংশ্লিষ্টরা সজাগ হয়ে যাচ্ছেন। এ কারণে টাকা আদান-প্রদানের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মেলেনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫
জেএইচ/টিআই
**‘জাতীয় পতাকা প্রদর্শনের সময়...’
** আবাদি জমিতেও পোস্টার, ছেয়ে গেছে প্ল্যাটফর্মও