শেরপুর: শেরপুরের চারটি পৌরসভার ৬৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৭টি ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।
শনিবার(২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল ওয়ারিশ বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
পুলিশ জানায়, শেরপুর পৌরসভার ৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৬টি, শ্রীবরদী পৌরসভার ৯টি কেন্দ্রের সবগুলো, নালিতাবাড়ী পৌরসভার ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪টি ও নকলা পৌরসভার ১২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮টিকে গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল ওয়ারিশ বাংলানিউজকে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র বলতে কিছু নেই। কাজের সুবিধার্থে ভোটকেন্দ্রগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ভোটকেন্দ্রের অবস্থান ও গুরুত্ব বিবেচনা করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ভোটকেন্দ্রগুলোকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ও ‘সাধারণ’ এ দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে ৬ জন পুলিশ ও ৬ জন আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১২ জন সদস্য মোতায়েন থাকবে। আর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ৮ জন অস্ত্রধারীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২০ জন সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া নির্বাচনের দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আর্মড পুলিশসহ ২০০ রিজার্ভ পুলিশ চাওয়া হয়েছে।
র্যাবের জামালাপুর-শেরপুর সহকারী কমান্ডার এবং পৌর নির্বাচনে শেরপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, প্রতি পৌরসভায় র্যাবের ১টি টহল দল সার্বক্ষণিক কাজ করবে। এরা কুইক ‘রেসপন্স টিম’ হিসেবে যেকোনো ধরনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক(ডিসি) ডা. এ এম পারভেজ রহিম বাংলানিউজকে বলেন, পৌর নির্বাচনে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক নিজ থেকেই সুরক্ষিত থাকবে। এর জন্য পর্যাপ্ত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী মোতায়েন থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাব, পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি টহলে থাকবে। এছাড়া জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন। ভোটের দিন ৪ পৌরসভায় জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ২৪টি মোবাইল টিম পৌর নির্বাচনের মাঠে থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫
পিসি