লক্ষ্মীপুর: নির্বাচনে জয়ী হতে প্রার্থীদের আশ্বাস, প্রতিশ্রুতি এসব নতুন কিছু নয়। এমনটা ভোট এলেই দেখা যায়।
লক্ষ্মীপুরের তিন পৌরসভার নির্বাচন চলছে। রায়পুর, রামগতি ও রামগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রতিযোগীতা দিয়ে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি নিয়ে মাঠে নেমেছেন। প্রতিশ্রুতিতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি কেউই পিছিয়ে নেই।
প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি
রায়পুর: রায়পুর পৌরসভার আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ইসমাইল খোকন বলেন, নির্বাচিত হলে রায়পুরে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ দূর করে মানুষকে শান্তিতে বসবাস করার সব ব্যবস্থা নিবো। যেহেতু আমি সরকার দলীয় প্রার্থী, নির্বাচিত হলে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে গ্যাস, বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করবো।
রায়পুর পৌরসভার দুই মেয়াদের মেয়র ও বিএনপি প্রার্থী এবিএম জিলানী বলেন, রায়পুর পৌরসভায় অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। আবারও জয়ী হলে বাকি কাজগুলো শেষ করবো।
রামগঞ্জ: রামগঞ্জ পৌরসভার আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের পাটওয়ারী বলেন, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত করে শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করে একটি আধুনিক পৌরসভা গড়াই আমার অঙ্গীকার। পৌর ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে রাখবো। মুক্তিযোদ্ধাদের বাসভবনের ট্যাক্স মওকুফ করা হবে। সবাইকে নিয়ে পরিকল্পনা করে অবকাঠামোসহ সব উন্নয়নমূলক কাজ করবো। আমি নির্বাচিত হলে পৌরবাসীর নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত এবং উন্নয়নে সমৃদ্ধ করতে কাজ করে যাবো।
বিএনপি প্রার্থী রোমান হোসেন পাটওয়ারী বলেন, মেয়র নির্বাচিত হলে রামগঞ্জ পৌরসভায় পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করবো। মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করে শান্তিপূর্ণ সমাজ উপহার দিবো। রামগঞ্জবাসী যেন তাদের নাগরিক সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবো।
রামগতি: রামগতি পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী শাহেদ আলী পটু বলেন, পুনরায় নির্বাচিত হলে রামগতি পৌরসভার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করবো। রাস্তাঘাট-ব্রিজসহ অবকাঠামো আরও উন্নয়ন করবো। এ পৌরসভায় ৮০ শতাংশ স্যানিটেশনের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশসহ সকল অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করবো।
রামগতি পৌরসভার আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মেজবাহ উদ্দিন মেজু বলেন, বর্তমান সরকার রামগতিতে মেঘনা নদী ভাঙন রোধকল্পে ব্যাপক কাজ করছে। আমি নির্বাচিত হলে নদী ভাঙন রোধে বাকি অসমাপ্ত কাজসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করবো।
সাবেক মেয়র ও জাতীয় পাটির্র মেয়র প্রার্থী আজাদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রামগতি পৌরসভা বর্তমানে তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভা। আমি নির্বাচিত হলে উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নতি করবো। রামগতি পৌরসভার রাস্তাঘাটের বর্তমানে বেহলা দশা। একটি ইউনিয়নে যে রাস্তাঘাট আছে এখানে তাও নেই। নির্বাচিত হলে রাস্তা, বিশুদ্ধ পানি, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোর উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে।
স্থানীয় ভোটাররা বলেন, এসব প্রতিশ্রুতি পুরনো। ভোট এলে এসব আমাদের শুনতে হয়। সবাই অভ্যস্ত। এখন আর প্রার্থীদের মধুর কথায় কেউ ভোট দেয় না। সবাইকে চেনা হয়ে গেছে। তাদের আশ্বাসে-বিশ্বাস নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
এসএইচ