জামালপুর: জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম অভিযোগ করেন, পৌর নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ ও সাবেক এমপি ডা. মুরাদ হাসানের নেতৃত্বে আওয়ামীগের ক্যাডাররা আমাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
এছাড়াও বাজারের খলিলুর রহমানের মনোহারী দোকান, আ. রাজ্জাক ও ইকবালের চায়ের দোকান, মঞ্জিলের পানের দোকানসহ বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিম উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ ফকির, বিএনপি মেয়র প্রার্থী একেএম ফয়েজুল কবীর তালুকদার শাহীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সংবাদ সম্মেলন শেষে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পুলিশ তিনজনকে আটক করে। তবে তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এর পরপরই বিকেল ৪টার দিকে উপজেলা দলীয় কার্যালয়ে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ।
স্থানীয় বিএনপির সব অভিযোগ প্রত্যাখান করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ সংবাদ সম্মেলনে পাল্টা অভিযোগ করেন, নৌকা প্রতীকের গণজোয়ার দেখে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ও সমর্থকরা ভয় পেয়েছে। পৌর নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতেই বিএনপির ক্যাডাররা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিএনপির কর্মীরা নিজেরাই কার্যালয়ে ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগের ওপর দোষ চাপাতে চাইছে।
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি তেজঁগাও কলেজের অধ্যক্ষ আ. রশীদ, সাবেক এমপি ডা. মুরাদ হাসান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বেগম জোহরা লতিফ, মেয়র প্রার্থী রুকোনুজ্জামান রোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকরা মিছিল সহকারে বিএনপির অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় অফিসের সামনে দাঁড়ানো বেশ কয়েকটি গাড়িসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠাও ভাঙচুর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
আরএ