সিলেট: সিলেটের ষোল পৌরসভায় দলীয় প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে ‘প্রেস্টিজ ইস্যুর’ লড়াইয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই সাংগঠনিক সম্পাদক। এই লড়াইয়ে যিনি বিজয়ী হবেন দলের হাইকমান্ডে বাড়বে তার মর্যাদা।
ফলে নিজেদের প্রার্থীকে বিজয় নিশ্চিত করতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন।
এবারই প্রথমবারের মতো দলীয় পরিচয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নৌকা আর ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন প্রধান দুই দলের প্রার্থীরা। ফলে এবারের নির্বাচন যতোটা স্থানীয়, তার চেয়ে অনেক বেশি দলীয় হয়ে ওঠেছে।
প্রার্থীর চেয়ে দলীয় প্রতীকের মর্যাদা রক্ষার লড়াই হয়ে ওঠেছে এবারের পৌর নির্বাচন। আর সিলেট বিভাগ প্রতীকের মর্যাদা রক্ষার দায়িত্ব পড়েছে দুই সাংগঠনিক সম্পাদকদের ওপর।
ফলে ষোল পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ১৬ জন করে প্রার্থী অংশ নিলেও ৩০ নভেম্বর তাদের সঙ্গে পরীক্ষায় অবতীর্ণ হবেন দুই সংগঠনিক সম্পাদকও।
ভোটারদের সামনে সাংগঠনিক সক্ষমতার পরীক্ষায় অবতীর্ণ এই দুই নেতা। তাই শেষ মুহুর্তেও বসে নেই তারা। কাকডাকা ভোর থেকে সিলেটসহ চার জেলার ষোল পৌরসভা চষে বেড়াচ্ছেন এ দুই নেতা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।
একইভাবে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সিলেটে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাখাওয়াত হাসান জীবন।
সাংগঠনিক হিসেবে এ দুই নেতা নিজেদের ‘প্রেস্টিজ ইস্যুর’ লড়াইয়ে প্রার্থীদের বিজয়ী করতে ষোলটি পৌরসভা ঘুরে বেড়িয়েছেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বাংলানিউজকে বলেন, সিলেটের সব ক’টি পৌরসভায় প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করে জনগণ প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হাসান জীবন বাংলানিউজকে বলেন, ষোল পৌরসভায় ১৬টি দলে বিভক্ত হয়ে দলীয় প্রার্থীর বিজয়ের লক্ষ্যে সোমবার পর্যন্ত তিনি মাঠে থেকেছেন।
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করার মাধ্যমে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে দেশপ্রেমিক জনতাকে শামিল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫
এনইউ/বিএস