ঢাকা: বুধবারের (৩০ ডিসেম্বর) পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে সব ধরনের মোটরযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পাশাপাশি ইঞ্জিন চালিত নৌ-যানেও একই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।
তবে মোটরযান চলাচলের নিষেধাজ্ঞা কেবল ২৩৪ পৌরসভার নির্বাচনী এলাকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, মহাসড়কের ক্ষেত্রে নয়।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ১২টা থেকে বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ১২টা পর্যন্ত একদিনের জন্য নির্বাচনী এলাকায় বেবিট্যাক্সি, অটোরিকশা, ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিক-আপ, প্রাইভেটকার, বাস, ট্রাক ও টেম্পো চলাচল বন্ধ থাকবে।
এছাড়া ২৭ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে ৩১ ডিসেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত চারদিনের জন্য নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবত রয়েছে।
এক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে প্রার্থী বা তার এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক, নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও বৈধ পরিদর্শক ওইসব যান ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া জরুরি হিসেবে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমের জন্যও ওইসব যানবাহন ব্যবহার করা যাবে। আবার জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
পৌরসভা নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইসি’র সচিব সিরাজুল ইসলাম।
গত সোমবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে ইসি’র সহকারী সচিব রাজীব আহসান নির্দেশনা সংক্রান্ত পৃথক দু’টি চিঠি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। ইতোমধ্যে কক্সবাজার ছাড়া সংশ্লিষ্ট সব জেলা প্রশাসকরা এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছেন।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দেশের ২৩৪ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ২০টি দল প্রার্থী দিয়েছে। এতে মেয়র পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৯৪৫ জন। যার মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ২৮৫ জন। তাদের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত আওয়ামী লীগের ৭ প্রার্থী ভোটের মাঠে থাকছেন না।
এছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ৪৮০ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৮ হাজার ৭৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪০ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৯৪ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এ নির্বাচনের মোট ভোটার রয়েছেন ৭০ লাখ ৯৯ হাজার ১৪৪ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩৫ লাখ ৫২ হাজার ২৮৪ জন এবং মহিলা ভোটার ৩৫ লাখ ৪৬ হাজার ৮৬০ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫
ইইউডি/জেডএস/এএসআর