নাটোর: ভোট উৎসব। আর উৎসবে যোগ দিতে বাড়ি ফিরছেন এলাকার মানুষজন।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) নাটোরের ৬টি পৌরসভায় মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নির্বাচনী লড়াই হবে। তাই দু’দিন আগে থেকেই ভোটারদের ভোট উৎসবের প্রস্তুতি। দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরতরা নিজেদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে ছুটে আসছেন বাড়িতে।
দেশ ট্রাভেলার্সের কাউন্টার ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এখন ঢাকা থেকে আসা যাত্রীদের চাপ কিছুটা বেশি। ঢাকায় যাওয়ার যাত্রী কম। সোমবার থেকেই মানুষ বাড়ি ফিরছে বেশি। ঢাকা থেকে কোন সিট খালি আসছে না।
ঢাকা ছাড়াও নোয়াখালি, চট্টগ্রাম, ফেনীতে বাস সার্ভিস রয়েছে আর. পি. চ্যালেঞ্জারের। কাউন্টার ম্যানেজার শরীফ খান বলেন, যারা হয়তো আজ-কাল নাটোরের বাইরে যাওয়ার কথা তারা যাচ্ছেন না। নাটোরে মানুষ ঢুকছে ভোট দেওয়ার জন্য। নিজের ভোট দেবে না!
তুহিন পরিবহন চাপাঁইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী রুটে পরিচালিত হয়। ম্যানেজার সাইফুল বলেন, রাজশাহীতে প্রচুর মানুষ রয়েছে নাটোরের। সোমবার থেকেই নাটোরের আশপাশে থেকে আসা ভোটার যাত্রীদের চাপ বেশি।
নাটোর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের চাপ। রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা দূরন্ত এক্সপ্রেসে মানুষের চাপ গতকাল থেকেই বেশি। আজিমপুরের বাসিন্দা রোকনুজ্জামান প্রথমবারের মতো ভোটার। বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমবার ভোট দেবো। এটা মিস করা যায় না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়ি এসেছেন তিনি।
ঢাকার একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা রাহিল শেখ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নাটোর নয় শুধু সারা দেশেই প্রচুর ভোটার রয়েছে, যারা কাজের জন্য ঢাকা বা অন্য বড় শহরগুলোতে থাকেন। সরকার নির্বাচনী এলাকায় ছুটি ঘোষণা করেছে। অথচ আমাদের ছুটি নিয়ে আসতে হলো ঢাকা থেকে।
রাহিলের নিজের মামা কাউন্সিলর পদে লড়ছেন। তিনি বলেন, এধরনের স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থীরও কাছের মানুষের কাছে ভোটের আব্দার থাকে। বারবার প্রার্থী বা তার কাছের কেউ ফোন দেয়, ঢাকায় অনুরোধ করে। না এসে পারা যায় না।
মাদ্রাসা মোড়ের বিসমিল্লাহ রেস্টুরেন্ট ম্যানেজার শরীফুল ইসলাম বলেন, এ সপ্তাহের প্রথম থেকেই মানুষের আগমন বেড়েছে। নাটোরের যারা বাইরে থাকেন তারা আসছেন। বিক্রি বেড়েছে। তার নিজের পরিবারে বড় ভাই এবং অনেক আত্মীয় ভোট উৎসবে যোগ দিতে নাটোরে এসেছেন বলে জানান তিনি।
তবে অটো চালক ফয়সালের দৃস্টিভঙ্গি অন্যরকম। বলেন, যাদের কাজকর্ম নাই, কুড়কুড়ানি বেশি, তারাই ভোট দিতে আসেন। ছুটি নিয়া ভোট দিতে আসা একটা কুড়কুড়ানি। ব্যাক্তিগত ভাবে এই ধরনের নিরর্থক কাজ তিনি জীবনেও করবে না বলে জানান।
শ্যামলী পরিবহনের সুপারভাইজার জুয়েল বলেন, যাত্রীর চাপ যেমন বাড়বে বলে ধারনা করেছিলাম, তেমনটা হয়নি। আমাদের বাড়তি কোনো প্রস্তুতি নিতে হয়নি। তবে ঢাকাতেও ছুটি ঘোষণা করলে ভোটার যাত্রীদের ভীড় বাড়তো বলে ধারনা করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫
এমএন/বিএস