নাটোর থেকে: আর কুড়ি ঘন্টাও বাকি নেই। জোরেসোরে চলছে প্রস্তুতি।
বড় হরিশপুরে বাইপাস মোড়ে রনি সুপার মার্কেটের সামনে সারি করে চলছে প্রার্থীদের সহযোগিতা অফিসের কাজ। ইতিমধ্যে মেয়র ও হেভিওয়েট প্রার্থীদের ক্যাম্প অফিস তৈরির কাজ শেষ।
এখানে একই বিদ্যালয় কম্পাউন্ডে দুটি কেন্দ্র। হরিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নজরুল ভবন এবং শের-ই-বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় ভবন। ভবনের একটি বুথে বেঞ্চ সাজানোর কাজ চলছে। প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট, ব্যালট এবং বুথ রাখার জায়গা গোছানো হচ্ছে।
স্কুলের পিয়ন আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে বলেন, এখানে দুটি কেন্দ্র। কয়টি বুথ হবে এখনো বলতে পারবো না। অস্থায়ী অফিসগুলো তৈরি করা হচ্ছে। পুলিশদের জন্য, সরকারি অফিসারদের কাজের জন্য অালাদা আলাদা রুম তৈরি করা হচ্ছে।
কেন্দ্রের বাইরে মহাসড়কের পাশ ঘেষে চলছে প্রার্থীদের সহযোগিতা কেন্দ্রের কাজ। জাতীয় প্রার্থী সমর্থিত ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী উট পাখি মার্কায় আব্দুল আওয়াল মন্ডল। তার কর্মীরা তৈরি করছেন সাহায্য বুথ। খুঁটিতে দড়ি টানিয়ে, পোস্টার ঝুলিয়ে চলছে সাজানো। রাতে বা কাল সকালে নিয়ে আসা হবে ব্যালট। কর্মী সালাম বলেন, ৩নং ওয়ার্ডে সাড়ে ৩ হাজারের মতো ভোট আছে। আমরা ভোটারদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবো। ভোটার নাম্বার, কোন বুথ এসব জানাবো।
একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী পাঞ্জাবি মার্কায় নান্নু শেখের সহযোগিতা ক্যাম্প রাস্তার অপর পাড়ে। সেই ক্যাম্প ইতিমধ্যে সাজনো শেষ।
মেয়র পদে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি উমা চৌধুরী জলির সহযোগিতা অফিস বেশ বড়। উটপাখি মার্কার পাশেই নৌকা মার্কার অফিস। এখানেই কর্মীরা অপেক্ষা করবেন ভোটের ফল পাওয়া পর্যন্ত। পাহারা দেবেন ভোট কেন্দ্র এবং ভোটারদের সহযোগিতা করবেন।
৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ২ বারের কাউন্সিলর ডালিম মার্কায় ফরহাদ হোসেন। তার কর্মীরাও কাজ করছেন পুরোদমে। এই সড়ক আজ বিকেল থেকেই সহযোগিতা কেন্দ্রে ভরে উঠবে আর বুধবার সকাল থেকে হরিশপুর বাইপাস সড়ক হয়ে উঠবে উৎসবের সড়ক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা; ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫
এমএন/আরআই
**ভোটের টানে বাড়ি ফিরছেন মানুষ