মনোহরদী (নরসিংদী): এখানে ধানে ভেজাল আছে। প্রার্থী ঠিক হইছে না।
মনোহরদী শহরের চা দোকানদার নাসির হোসেনের এমন মন্তব্য।
বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় সুবিধাজনক অবস্থায় আছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি যাকে মনোনয়ন দিয়েছে এখানে তার তেমন জনপ্রিয়তা নেই বলে মন্তব্য দেশে ফেরা মনোহরদীর বাসিন্দা আব্দুল বারী মিয়া।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খালেক ডাক্তার দু’দফায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং মনোহরদী পৌরসভায় প্রথম মেয়র নির্বাচিত ছিলেন। সাধারণ মানুষের কাছে এখনও অনেক জনপ্রিয়। তাকে মনোনয়ন না দিয়ে সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত মাহমুদুল হককে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি।
মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন খালেক ডাক্তার। বিএনপির অনেক নেতাই বিদ্রোহী প্রার্থী খালেক ডাক্তারের পেছনে কাজ করছেন। যে কারণে বিএনপির কর্মী সমর্থকরা দুই ভাগে বিভক্ত। এতে ভাগ হয়ে যেতে পারে বিএনপির ভোট।
একই সঙ্গে বিএনপির রাজনৈতিক মিত্র জামায়াত তাদের প্রার্থী দিয়েছে। সেদিক থেকেও ভোটের সমীকরণ বিএনপিকে পিছিয়ে রাখছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আমিনুল রশিদ সুজনকে পছন্দের তালিকা রাখছেন অনেকে।
মনোহরদী বাসস্ট্যান্ডের নাসির হোটেল অ্যান্ড টি স্টলের মালিক নাসির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সভ্যতা-ভদ্রতা দু’টোই আছে সুজনের। হেরা (বিএনপি) তিন গ্রুপ না হলে কনটেস্ট হতো। এখন মনে হয় আওয়ামী লীগ জিতে যাইবো।
বিভিন্ন সমীকরণের কারণে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিজয় অনেক সহজ মনে করছেন স্থানীয়রা। তারা ধারণা করছেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আমিনুর রশিদ সুজনের সঙ্গে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী খালেক ডাক্তারের প্রতিদ্বন্দিতা হতে পারে। তবে শেষ মুহূর্তে হিসাব-নিকাশ বদলে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী থেকে মনোহরদী যাওয়ার পথে হারুদিয়ায় (পৌরসভায় সীমায়) প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে পোস্টারের ছড়াছড়ি। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে রাস্তার দু’পাশ। বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি এ পৌরসভায়। ভোটও শান্তিপূর্ণ হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
২০০২ সালে ৬ দশমিক ৬৬ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থিত মনোহরদী পৌরসভায় মোট ভোটার রয়েছেন মাত্র ১২ হাজার ৭০ জন। ভোট কেন্দ্র ৯টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫
এসআই/এমইউএম/জেডএস
** নরসিংদীতে ব্যালট পাঠানো শুরু