গাইবান্ধা থেকে: নির্বাচন কমিশনের নির্দেশানুযায়ী গাইবান্ধার তিন পৌরসভার ৫২ ভোট কেন্দ্রের অধিকাংশরই প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে, এখনও বেশকিছু কেন্দ্রে শেষ প্রস্তুতির কাজ চলছে।
গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ ও গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
গাইবান্ধা সদর পৌরসভার কোমরনই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার শাকুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, যথা সময়ের মধ্যেই কেন্দ্রে ব্যালোট পেপার ও বাক্স এসেছে। ভোট গ্রহণের জন্য বুথ তৈরি, নারী-পুরুষদের তালিকা আলাদা করাসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে। এ কেন্দ্রে ৩ হাজার ৫৪৮ জন ভোটার রয়েছে।
এদিকে, মুন্সিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ভোট গ্রহণের সর্বশেষ প্রস্তুতি চলছে। প্রিজাইডিং অফিসার শাহ–মোয়াজ্জেম হোসেন তার সহকারীদের কাজ বুঝিয়ে দিচ্ছেন। আর বাইরে চলছে বুথ তৈরির কাজ।
শাহ-মোয়াজ্জেম বাংলানিউজকে বলেন, এই ভোট কেন্দ্রে ১৪শ’ ভোটার রয়েছে। ভোটারদের জন্য মোট সাতটি বুথ প্রস্তুত করা হচ্ছে।
জুবলি সরকারি বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আসাদুজ্জামান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। ভোট গ্রহণের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে বলেন, সদর থানার ২৯টি কেন্দ্রের সবগুলোতেই পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠে কাজ করছে চার শতাধিক পুলিশ।
এদিকে, নির্বাচনে গাইবান্ধা পৌরসভায় মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৭২ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ২০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়া সুন্দরগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে আট জন লড়ছেন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩০ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তিন পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৮৬ হাজার ৫২৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৪২ হাজার ৪৭৪ এবং নারী ৪৪ হাজার ৫৫ জন।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে জানান, ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে যাবতীয় প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, আর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে থাকছে অতিরিক্ত নজরদারি। সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের স্টাইকিং ফোর্স। ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি।
গাইবান্ধার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামছুল আজম বাংলানিউজকে বলেন, ভোটকেন্দ্রের যাবতীয় ঝুঁকি বিবেচনায় রেখেই সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে গিয়ে কোনো বাধার সম্মুখিন না হয়, সেজন্য প্রতিটি কেন্দ্রে মোতায়েন রাখা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সদস্য।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫
পিসি