নাটোর থেকে: পৌষের শীত এখন উত্তরাঞ্চলকে কাবু করে যাচ্ছে। এর মধ্যেই পৌরসভা নির্বাচনের উত্তাপ।
বুধবার(৩০ ডিসেম্বর)সকালে উৎসবের অপেক্ষায় ভোটার আর ভাগ্য নির্ধারণের দিনের অপেক্ষায় প্রার্থীদের কাছে এ দীর্ঘ শীতের রাত হয়ে উঠেছে আরও দীর্ঘ।
ঐতিহাসিক শহর নাটোর। ব্রিটিশ স্থাপত্য এ শহরের উন্নয়নের ঐতিহাসিকতার স্বাক্ষর দেয়। সেই শহরের পৌরসভা নির্বাচনের উত্তাপ তো একটু বেশি হবেই।
নাটোর পৌরসভার ২৯টি কেন্দ্রে সকাল থেকে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। এরই মধ্যে বন্ধ হয়েছে প্রচার প্রচারণা। এখন চলছে মুখে মুখে ম্যান টু ম্যান প্রচার। ফোন দিয়েই ভোটারদের অনুরোধ জানাচ্ছেন প্রার্থী এবং তার কর্মীরা। এই প্রক্রিয়ায় ভোট চাওয়া চলবে কাল শেষ সময় পর্যন্ত।
এরই মধ্যে জেলার ২৮ টি কেন্দ্রকে ঝুঁকি পূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেসব কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। তবে, নাটোরবাসীর সেসব দিকে ভ্রূক্ষেপ নেই। সকালের উৎসবের জন্যই অপেক্ষা বেশি।
নাটোর বাজারে মসজিদ মোড়ে কথা হয় ডিম বিক্রেতা মুজিবুল ইসলামের সঙ্গে। বাংলানিউজকে বলেন, আজ দোকান একটু আগেই বন্ধ করে দেব। সকালেই ভোট দিতে যেতে হবে। তবে, কাল সন্ধ্যার আগেই আবারও দোকান খুলবেন তিনি। মজিনাতুন্নেছা স্কুল কেন্দ্রে তার ভোট।
এই মোড়েই চায়ের দোকানে কথা হয় স্বর্ণকার সাধন, রমেন আর অপুর সঙ্গে। বলেন, ভোট দিতে যাবেন সবাই। তবে, এটা নিয়ে কথা বলতে রাজি নন।
শীতের মধ্যে শরীর গরম করতে এ মুল্লুকে চায়ের বিকল্প নেই। মসজিদ মোড়ের চায়ের দোকানদার সাইফুল জানান, বুধবার সকালে মজুতপুর স্কুল কেন্দ্রের সামনে অস্থায়ী চায়ের দোকান দেবেন তিনি। সেখানে ভোটের গরম চায়ের গরম দুটোই চলবে।
ভোট কেমন হবে? স্থানীয় ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত, ঠিক আছে। নির্বাচনে মানুষের অংশগ্রহণের ওপর বোঝা যাবে। তবে, সুষ্ঠু ভোট হবে বলেই আশা করেন তিনি।
নাটোরে এখন হাড়কাঁপানো শীত। আর এই শীতের দীর্ঘ রাতকে আরও দীর্ঘ করবে ভোটের আমেজ। সকালে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার তাড়না যেমন থাকবে ভোটারদের, প্রার্থীদের কপাল কুঁচকে তলপেট মুচড়ে উঠবে বারবার। গত কয়েক মাসের ফল নির্ধারণ করবেন ভোটাররা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫
এমএন/পিসি
** কেন্দ্রে যাচ্ছে ব্যালট, প্রস্তুত কর্মকর্তা-পুলিশ