গাইবান্ধা থেকে: রাত পোহালেই পৌরসভার নির্বাচন। এই নির্বাচনে গাইবান্ধার তিনটি পৌরসভার ৪৭টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছে ৬শ’ পুলিশ।
এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের শতাধিক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। টহল দিচ্ছেন বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধার তিনটি পৌরসভার ৫২ কেন্দ্রের মধ্যে ৪৭টিকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আর এসব ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রেগুলোতে হামলার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সব বিষয় বিবেচনায় রেখে ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি পরস্পরের সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠে কাজ শুরু করেছেন।
গাইবান্ধা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ৪৭টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ৬শ’ পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় থাকছেন আনসার বাহিনীর সদস্যরাও।
সবকিছু বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
র্যাব-১৩ গাইবান্ধার ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক মো. আশরাফ বাংলানিউজকে জানান, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় মাঠে কাজ করছেন শতাধিক র্যাব সদস্য। বিশেষ পোশাক ও সাদা পোশাকে ভোট কেন্দ্রে কাজ করছে র্যাব।
গাইবান্ধা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নওসাদ আলী বাংলানিউজকে জানান, ভোট কেন্দ্রে সব ধরনের বিশৃঙ্খলা বন্ধে যথেষ্ঠ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। যেকোনো ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রস্তুতি রয়েছে পুলিশ।
এদিকে, নির্বাচনে গাইবান্ধা পৌরসভায় মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৭২ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ২০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়া সুন্দরগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে আটজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩০ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তিন পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৮৬ হাজার ৫২৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৪২ হাজার ৪৭৪ এবং নারী ৪৪ হাজার ৫৫ জন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫
এনএ/পিসি