গাইবান্ধা থেকে: তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে পৌরসভা নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে আসতে শুরু করেছেন ভোটাররা। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে গাইবান্ধার তিন পৌরসভার ৫২ কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু করেন দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসাররা।
গাইবান্ধা সদর থানার জুবলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার আসাদুজ্জামান চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনানুযায়ী সকাল ৮টা থেকেই ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
তীব্র শীতের কারণে সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকবে।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান জানান, ভোটাররা যেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে যাবতীয় প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, আর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে থাকছে অতিরিক্ত নজরদারি। সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স। ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি।
গাইবান্ধার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামছুল আজম বাংলানিউজকে বলেন, গাইবান্ধার ৫২ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। যাবতীয় ঝুঁকি বিবেচনায় রেখেই সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে গিয়ে যেন কোনো বাধার সম্মুখীন না হোন, সেজন্য প্রতিটি কেন্দ্রে মোতায়েন রাখা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ, ৠাব ও বিজিবি সদস্য।
নির্বাচনে গাইবান্ধা পৌরসভায় মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৭২ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ২০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৬ জন লড়ছেন এখানে। এছাড়া, সুন্দরগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে আট জন লড়ছেন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩০ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ১৩ জন।
জেলার তিন পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৮৬ হাজার ৫২৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৪২ হাজার ৪৭৪ এবং নারী ৪৪ হাজার ৫৫ জন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
এনএ/এইচএ/