নাটোর থেকে: সকাল থেকে বড় হরিশপুর বাইপাসে উৎসবের আমেজ। শের-ই-বাংলা স্কুল কেন্দ্রের আশপাশে বসেছে ঈদগাহের মতো মনোহর পণ্যের দোকান।
নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী ৪০০ গজের মধ্যে কোন দোকান বা প্রার্থীর সহযোগিতা বুথ বসানোর নিয়ম নেই। তবে বোঝাই যাচ্ছে, ম্যাজিস্ট্রেট যাওয়ার পরপরই আবারে জমবে মেলা।
লক্ষ্মীপুরে জিলাপির দোকান সিরাজ মিয়ার। তবে আজ বুধবার ভোটের দিন সকাল থেকে হরিশপুর কেন্দ্রের সামনেই বসেছেন তিনি। থাকবেন সন্ধ্যায় ফল প্রকাশের আগ পর্যন্ত।
হরিশপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ঘিরে বসেছে ১০টিরও বেশি ভ্রাম্যমাণ দোকান। আর স্থায়ী চা-বিস্কিট-পানের দোকান অাছে ৪টি।
মো.হান্নানের পানের দোকান মাদ্রাসা মোড়ে মক্কা-মদীনা হোটেলের সামনে। আজ ছেলেকে নিয়ে বসেছেন তিনি। পানের সঙ্গে চিপস, বিস্কিট, আচার এমনকি শিশুদের জন্য বেলুন ও প্লাস্টিকের খেলনা নিয়েও বসেছেন তিনি। মায়ের সঙ্গে আসা শিশুদের জন্য রয়েছে খেলনার পসরা।
পার্কের মতোই হাওয়াই মিঠাই নিয়ে ঘুরছেন মুখলেছুর রহমান। বাংলানিউজকে জানালেন, আজ শহরের কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘুরে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করবেন তিনি।
কোন দোকানটা নেই এই কেন্দ্র ঘিরে! চটপটি হালিম নিয়েই বসেছে তিনটি দোকান। বাসস্ট্যান্ডে সাধারণত দোকান নিয়ে বসেন নলডাঙ্গার জয়নাল। তবে আজ এখানেই থাকবেন সন্ধ্যা-রাত অবধি।
তবে উৎসবের আমেজটা একটু বেশিই এনে ফেলেছিলেন হরিশপুরবাসী। কেন্দ্রের ২০ গজের মধ্যেই বসেছে দোকান আর প্রার্থীদের সহযোগিতা ক্যাম্প। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গে নড়তে হলো অনেককেই। অনেক প্রার্থীর কর্মীরা চারজন চারটি খুঁটি ধরে ক্যাম্পকে আগলে সরালেন আরেকটু দূরে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
এমএন/আরআই