কানাইঘাট থেকে (সিলেট): বিষ্ণুপুর এলাকা নিয়ে গঠিত কানাইঘাট পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডের পরেই শুরু সীমান্তবর্তী লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়ন।
ভোটকে কেন্দ্র করে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মোকাবেলায় এ কেন্দ্রে রয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। টহল দিচ্ছে স্ট্রাইকিং ফোর্স, র্যাব ও বিজিবি। এরপরও আতঙ্কে রয়েছেন এখানকার সাধারণ ভোটার ও স্থানীয়রা। যার প্রমাণ মিলেছে ভোট কেন্দ্রটিতে গিয়ে।
কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ছয়টি কক্ষে ভোটগ্রহণ চলছে। নারী ভোটারদের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখা গেছে। তবে পুরুষদের লাইন ছিলো একেবারে শূন্য। যদিও ভোট কেন্দ্রের বাইরে অনেক মানুষের ভিড় লেগে ছিলো।
ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কেন্দ্রটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সকালেও কেন্দ্রের বাইরে দুই প্রার্থীর পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। তবে পুলিশের উপস্থিতির কারণে সংঘর্ষ এড়ানো গেছে। উত্তেজনা এখনও আছে। নারীদের আগেভাগেই ভোট কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিচ্ছেন পুরুষরা। তবে তারা দুপুরের পরে পরিস্থিতি বুঝে ভোট দেবেন।
তারা আরও জানান, বাইরের ইউনিয়ন থেকে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর পক্ষের লোকজন এসে ভোট প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
ভোটারদের কথার প্রতিফলন ঘটেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মুখেও। তারাও দাবি করেছেন- ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা এখানে তাদের প্রতীকে ভোট দিতে ভোটারদের প্রলুব্ধ করছেন।
বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার দেলোয়ার হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, এ কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২০৫২। সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টায় চারশতাধিক ভোট কাস্ট হয়েছে। যা ভোটারদের তুলনায় অনেক কম।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। তৃতীয় শ্রেণির এ পৌরসভায় নতুন পৌরপিতা নির্বাচিত করতে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
৯টি কেন্দ্রের ৪৬টি কক্ষে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। দুটি কেন্দ্র ছাড়া বাকি সাতটি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, কানাইঘাট পৌর নির্বাচনে ১৬ হাজার ২৮৭ জন ভোটার ভোট দেবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ৩১১ এবং নারী ভোটার ৭ হাজার ৯৭৬ জন।
এই পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
এএএন/জেডএস/জেডএম