চান্দিনা (কুমিল্লা): কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সময় ভোটারদের হাতে মেয়র প্রার্থীর ব্যালট পেপার দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
পৌর নির্বাচনে একজন ভোটারকে ৩টি ক্যাটাগরিতে ৩টি ব্যালট পেপার দেওয়ার কথা থাকলেও চান্দিনা পৌরসভার বেশিরভাগ কেন্দ্রে ২টি ব্যালট পেপার হাতে পাচ্ছেন ভোটাররা।
বুধবার(৩০ ডিসেম্বর) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই ১৩টি কেন্দ্রের মধ্যে শুধু চান্দিনা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২টি কেন্দ্র ছাড়া অন্য কেন্দ্রগুলোতে এ পরিস্থিতি চলছে।
৪নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বেলাশহর কেন্দ্রের ষাটোর্ধ্ব ভোটার হোসেন মিয়া বাংলানিউজের কাছে অভিযোগ করেন, ভোটকক্ষে প্রবেশ করার পর ৩টি ব্যালট পেপারে তার আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে ৩টি ব্যালট পেপার দেওয়া হয়। কিন্তু গোপন কক্ষে ঢোকার আগে একজন এসে তার হাত থেকে সাদা রংয়ের ব্যালট পেপারটি নিয়ে বলেন, ‘মেয়র রাইখা কাউন্সিলর প্রার্থীরডি লইয়া যান’।
তিনি আরো জানান, এরপর তিনি গোপন কক্ষে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীকে ভোট দেন। আর অপর ব্যালটে ওই ব্যক্তি প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারেন।
ভোটার হোসেন মিয়ার মতো আরো অনেকেই এমন অভিযোগ করেন।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পশ্চিম বেলাশহর ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সুভাষ মজুমদার। তিনি বলেন, আমার কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে।
এদিকে, চান্দিনায় ভোট কারচুপি ও সরকারদলীয় প্রার্থীর নেতাকর্মীদের জোর জবরদস্তির অভিযোগ করে বিএনপির প্রার্থী শাহ মো. আলমগীর খান জানান, প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোটারদের হাত থেকে মেয়র প্রার্থীর ব্যালট পেপার রেখে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারা হচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিম বেলাশহর, মহারং, রারিরচর ও বিশ্বাস কেন্দ্রে আমার ওপর আক্রমণের চেষ্টা হয়েছে। আমি বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসার সুমন চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, এসব কিছুই আমি জানি না। সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেট আমাকে কিছু জানাননি।
বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
এসআর