সিংড়া, নাটোর থেকে: একসঙ্গে ছাওয়াল ঘরের দুই নাতিকে নিয়ে বেড়ানোর সুযোগ খুব একটা হয় না মায়া বেগমের। ভোটের দিনে দাদির সঙ্গে ভোট কেন্দ্রে আসতে পেরে বেশ খুশি ৪ বছরের সজল এবং ২ বছরের সোনিয়া।
সজলের হাতে ঝালমুড়ির ঠোঙ্গা। 'ভোট দিয়েছো?' জানতে চাইলে লজ্জা পেয়ে আবারো দাদির আচঁলে মুখ গোঁজে। আর সোনিয়ার হাতে বেলুন।
শিশুদের টার্গেট করেই ভোট কেন্দ্রগুলোর বাইরে বসেছে মেলা। সেখানে বাঁশি, ঢোল, গাড়ি থেকে শুরু করে প্লাস্টিকের সব খেলনাই মিলবে। আর বড়দের সঙ্গে থাকা শিশুরাই ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোর মূল খরিদ্দার।
নিংগাইনে গৌর নদীর ঘাটেও একই অবস্থা। ঘাটে শিশুদের খেলনা আর খাবারের দোকানই বেশি। জোড়ামল্লিক নিংগাইন দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় আজ বন্ধ। স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী রোকন স্কুলের সামনে বসা মেলায় এসেছে বাবার সঙ্গে। বাবা ভোটে ব্যস্ত আর সে বন্ধুদের সঙ্গে খেলায়। মা ছাড়াও দাদা-দাদির হাত ধরে আসা শিশুদের সংখ্যা এবং উৎসব বেশি।
হরিশপুর প্রাথমিক স্কুলের সামনেও বসেছে মেলা। সেখানে হাওয়াই মিঠাই, আচার, ফুচকা, বেলুন, বাদাম, মিষ্টি, জিলাপি সবই পাওয়া যাচ্ছে। টার্গেটও শিশুরা। দাদা-দাদির আঙ্গুল শক্ত করে ধরে ভোট কেন্দ্রে আসা শিশুদের কাছে এটা অনেক বড় উৎসবই বটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
এমএন/আরআই