ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন

লাঠি ভরে এসে ভোটকেন্দ্রে

‘ভোট আমার পবিত্র আমানত’

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
‘ভোট আমার পবিত্র আমানত’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বগুড়া: মর্জিনা বেওয়া। বয়স আশির কাছাকাছি।

হয়ত তারও বেশি। আরেকজন সুফিয়া বেওয়া। বয়স নব্বই পেরিয়ে এক শ’ ছুঁই ছুঁই। দু’জনেই লাঠিতে ভর দিয়ে এসেছিলেন ভোটকেন্দ্রে। উৎসবমুখর পবিবেশে ভোটও দিয়েছেন তারা। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পেরে তারা অত্যন্ত খুশি মনে বাড়ি ফিরেছেন।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে বগুড়া পৌরসভার করনেশন ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্রে তারা স্বজনদের সহযোগিতায় ভোট দিতে আসেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বয়স তাদের দু’জনকেই একেবারে কাবু করে ফেলেছে। নানা রোগবালাই বাসা বেঁধেছে শরীরে। শীতের তীব্র ঠাণ্ডায় কাহিলও হয়েছেন। তাদের একজন মর্জিনা বেওয়া। ভোট শেষে লাঠি ভর দিয়ে কেন্দ্র থেকে বাইরে আসেন। পরে স্বজনদের সহযোহিতায় রিকশায় উঠে বাড়ি ফিরেছেন।

বাড়ি যাওয়ার আগ মুহূর্তে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি অত্যন্ত ক্ষীণ কণ্ঠে বাংলানিউজকে বলেন, ভোটের সুযোগ হওয়ার পর থেকে ভোট দিয়ে আসছি। স্বাধীন বাংলাদেশে কখনও ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকিনি। তাই এবারো কষ্ট করে ভোট দিয়ে গেলাম। কারণ ভোট একটি গুরুত্বপূর্ণ, পবিত্র আমানত। সেই আমানত ভালো মানুষকে দিতে এসেছি।

ভোট দিতে পেরে তিনি নিজেকে ধন্য মনে করেন, বলে জানান।

এদিকে, সুফিয়া বেওয়া বাংলানিউজকে বলেন, ভোট হলে আসলে বাড়িতে থাকতে ভালো লাগে না। কিন্তু শরীর আর পারে না। তবু ভোট কেন্দ্রে আসতে মন মানে না। তাই স্বজনদের সহযোগিতায় কেন্দ্রে এসেছি। বিগত সময়ের মতো এবারো ভোট দিয়েছি। এটি আমার অধিকার। তবে বয়সের কারণে এবার খুব কষ্ট পোহাতে হয়েছে।

তারা দু’জনই বাংলানিউজকে জানান, রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে ভোট দেওয়া তাদের একান্ত দায়িত্ব-কর্তব্য। তাই দায়িত্ব পালনের জন্য কষ্ট করে হলেও ভোট দিতে হবে, তাই তো এসেছেন দুই বৃদ্ধা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
এমবিএইচ/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।