ঢাকা: পৌরসভা নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) তো দূরের কথা, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিবের সাক্ষাত চেয়েও পেলেন না বিএনপির প্রতিনিধি দল। আর এ নিয়ে ক্ষোভেরও শেষ নেই ওই প্রতিনিধি দলের নেতা বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুকের।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সকাল ৮টা থেকেই ইসিতে লিয়াজো কমিটির প্রতিনিধি হিসেবে এসেছি। এখন পর্যন্ত সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে পারলাম না। এরপর সচিবের সঙ্গে সাক্ষাত করতে চাইলে প্রথমে তার দফতরে বসিয়ে রাখা হয়। এরপর খবর পাঠানো হয়, সচিব দেখা করবেন না।
ক্ষোভের সঙ্গে ওসমান ফারুক বলেন, আমরা তো রাস্তার লোক না। বসিয়ে রেখে বলা হয়েছে, দেখা হবে না। এটা হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের কর্তাব্যক্তিদের মনোবৃত্তি। আমলাতন্ত্রের কাছে রাজনৈতিক নেতাদের যে দাম নেই, এটা আবারো প্রমাণিত হলো।
তিনি বলেন, আমি মন্ত্রী ছিলাম। অসৌজন্যমূলকভাবে বলা হয়েছে দেখা হবে না। কিসের এতো ব্যস্ততা? আমরা জনগণের একজন প্রতিনিধি। আমাদের সঙ্গে দেখা করাই তাদের জন্য আগে ফরজ।
তবে তিনি চার নির্বাচন কমিশনারকে ধন্যবাদ দেন তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করায়।
ওসমান ফারুক অভিযোগ করেন, পাঁচ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন ও এরপর যতোগুলো স্থানীয় নির্বাচন হয়েছে, তার চেয়ে ‘উচ্চতর কারচুপি’ হচ্ছে এ নির্বাচনে। সকাল থেকে এ সংক্রান্ত অভিযোগ মৌখিল ও লিখিতভাবে দিয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশন নিয়েছে কি না তা বোঝা যাবে ভোটগ্রহণ শেষেই।
এর আগে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলেরও সঙ্গে সিইসি সাক্ষাত করেননি। তারাও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধি দল ইসির সচিবের সাক্ষাত প্রার্থনা করেনি। একই রকমভাবে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দলও সিইসি কিংবা সচিবের দেখা পায়নি।
দেশের ২৩৪ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলাকালে অনিয়মের অভিযোগ দিতে দু’দল থেকেই প্রতিনিধিরা নির্বাচন কমিশনে আসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
ইইউডি/এএসআর