গাইবান্ধা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার দু’টি ভোটকেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত নয়জন আহত হয়েছে।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে পৌরসভার শামীম অ্যান্ড শাকিল কারিগরি কলেজ ও গোবিন্দগঞ্জ মহিলা কলেজকেন্দ্রে এ সংঘর্ষ হয়।
আহতরা হলেন- বাবর আলী (৪৫) আ. করিম (৩২), আনিছুজ্জামান বিদ্যুৎ (৩৮), লুৎফর রহমান (৩২), পারভেজ (২৫), সাদাদা (২৮), মানিক (১৬), নজরুল (৩০), আ. রাজ্জাক (৩৮)।
এদের মধ্যে পারভেজ, সাদাদা, মানিক, নজরুল, আ. রাজ্জাককে বগুড়া শহীদ জিয়াউ রহমান মেডিকেল কলেজে এবং বাকিদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, শামীম অ্যান্ড শাকিল কারিগরি কলেজ ভোটকেন্দ্রের সামনে দুই কাউন্সিলর প্রার্থী বাপ্পি (উটপাখি) ও শহিদুল ইসলামের (পাঞ্জাবী) সমর্থকদের মধ্যে প্রথমে বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী দফায়-দফায় সংঘর্ষে সাতজন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার শেল ও বাবার বুলেট ছোঁড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
দুপুর ১২টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ মহিলা কলেজ ভোট কেন্দ্রের গেটের বাইরে তিন কাউন্সিলর প্রার্থী আরিফুল হক প্রধান ( পাঞ্জাবী), জাকারিয়া ইসলাম সাজু ( ডালিম) ও শাহীন আকন্দের ( উটপাখি) সমর্থকদের মধ্যেও সংঘর্ষ বাধে।
এসময় পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ ও পরে শটগানের গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দু’টি পৃথক সংঘর্ষে ওই নয়জন আহত হন। তবে, গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
এইচএ/