সিলেট: সিলেটের অনুষ্ঠিত ষোলটি পৌরসভার মধ্যে কানাইঘাটে দুটি ও হবিগঞ্জে তিনটি কেন্দ্র দখল ও ভোটগ্রহণ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হলেও কিছুক্ষণ পর তা আবার শুরু হয়।
এছাড়া মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ৬টি কেন্দ্র আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নিয়ন্ত্রনে ছিলো এবং ধানের শীষের এজেন্টকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে দাবি করেছে বিএনপি।
তবে বিএনপির কোনো প্রার্থীরা কোনো পৌরসভায় ভোট বর্জন না করলেও মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পূণনির্বাচনের দাবি জানিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান।
এছাড়া গোলযোগের কারণে হবিগঞ্জে তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। এতিন কেন্দ্র হলো- জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম, বিকেজিসি গার্লস স্কুল, পিটিআই স্কুল। জাল ভোট দেওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই তিনটি কেন্দ্র প্রায় ঘণ্টাখানেক ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে।
জেলার তিন পৌরসভায় শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও কানাইঘাট পৌর সভায় দুটি কেন্দ্র দখলের অভিযোগ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাখাওয়াত হাসান জীবন।
তিনি বলেন, বেলা ১টার দিকে নৌকা প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা কানাইঘাটের রামপুর ও দুর্লভপুর সেন্টার দখল করে রাখে। অবশ্য ঘণ্টাখানেক পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আবারও ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
এছাড়া বিভাগের মৌলভীবাজারের বড়লেখা সদরে ৬টি কেন্দ্র আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা নিয়ন্ত্রনে নিয়ে যায়। তারা বিএনপির দুই এজেন্টকে ছুরিকাঘাত করে বলেও জানিয়েছেন ডা. জীবন।
তিনি বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পৌরসভার বড়লেখা সদর বাজার স্কুল, শাহ মোস্তফা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাশিনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল করে নেয় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা। স্থানীয় কাশিনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্ট সাদিক আলম ও আব্দুর রহিমকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
এরপর বেলা ১টার দিকে বড় কাপন, মাদ্রাসা কেন্দ্রসহ আরো তিনটি কেন্দ্র দখল করেন নেয় আওয়ামী লীগ সমর্থকরা।
ওই পৌরসভায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষ থেকে পূণ:নির্বাচনের জন্য রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এই বিএনপি নেতা।
হবিগঞ্জ: এখানে দুপুর সাড়ে ১২ টায় ঝুকিমুক্তের তালিকায় থাকা জেলা পরিষদ কেন্দ্রে ৪টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটানো হয়। এতে এক ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে।
এছাড়া জাল ভোট দেওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আতাউর রহমান সেলিম, বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমানের মধ্যে সংঘাতের কারণে বিকেজিসি গার্লস স্কুল, পিটিআই স্কুলে প্রায় ঘণ্টাখানেক ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিলো বলে জানা গেছে।
তবে বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার কোনো পৌরসভায় ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল না বা কোনো প্রার্থী ভোট বর্জন করেননি বলে জানিয়েছেন ডা. শাখাওয়াত হাসান জীবন।
তিনি আরো বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশ ছিলো, ভোট কেন্দ্র দখল হয়ে গেলেও বিএনপি প্রার্থীরা যেনো ভোট বর্জন না করেন। বিভাগীয় মনিটরিং সেল থেকেও তাদের সেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
এনইউ/বিএস