ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন

রাজশাহীর ৯টিতে আ’লীগ, ৪টিতে বিএনপি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৫
রাজশাহীর ৯টিতে আ’লীগ, ৪টিতে বিএনপি

রাজশাহী: কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া রাজশাহীর ১৩টি পৌরসভায় সুষ্ঠুভাবে ভোট উৎসব শেষ হয়েছে।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে।

এতে রাজশাহী পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত ৯ প্রার্থী ও বিএনপির ৪ মেয়র বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

তাই পৌর নির্বাচনেও উত্তরের এই জেলায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অক্ষুন্ন রেখেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মনিরুল ইসলাম নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৩৮৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আনোয়ারুল ইসলাম পেয়েছেন ৬ হাজার ৩১১ ভোট।

রাজশাহীর কাঁকনহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের আবদুল মজিদ মাস্টার ৫ হাজার ৮০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। আর ৪ হাজার ৪৪০ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন বিএনপির হাফিজুর রহমান হাফিজ।

রাজশাহীর মুণ্ডুমালা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের গোলাম রাব্বানী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৪৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ফিরোজ সরকার পেয়েছেন ৪ হাজার ৪০৬ ভোট।

রাজশাহীর কাটাখালি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের আব্বাস আলী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৭৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা মাজেদুর রহমান পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৩৭ ভোট।

রাজশাহীর নওহাটা পৌরসভায় বিএনপির মকবুল হোসেন ১২ হাজার ৭৮৩ ভোটে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আব্দুল বারী খাঁন পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৭৯ ভোট।

রাজশাহীর কেশরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের শহীদুজ্জামান শহীদ বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজুর রহমান আকন্দ পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৯৬ ভোট।

ভবানীগঞ্জ পৌরসভায় বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের আবদুল মালেক মণ্ডল। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবদুর রাজ্জাক পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৬ ভোট।

এদিকে, তাহেরপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ ৭ হাজার ৯২০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন বিএনপির আবু নঈম শামসুর রহমান মিন্টু। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ২০৩ ভোট।

রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের তোফাজ্জল হোসেন ৭ হাজার ৯০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন।   তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসানুজ্জামান সান্টু পেয়েছেন ৪ হাজার ৭২৯ ভোট।

রাজশাহীর বাঘার আড়ানী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মুক্তার হোসেন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ১৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির তোজাম্মেল হক পেয়েছেন ২ হাজার ৭১৫ ভোট।

রাজশাহীর তানোর পৌরসভায় বিএনপির মিজানুর রহমান মিজান ৮ হাজার ৫৯৭ ভোটে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের ইমরুল হক পেয়েছেন ৮ হাজার ৫৮৪ ভোট।

রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভায় বিএনপির আসাদুল হক আসাদ ৪ হাজার ৪০২ ভোটে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী রবিউল ইসলাম রবি পেয়েছেন ৪ হাজার ১৩১ ভোট।

রাজশাহীর চারঘাট পৌরভায় বিএনপির প্রার্থী জাকিরুল ইসলাম বিকুল বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নারী মেয়রপ্রার্থী নার্গিস খাতুন পেয়েছেন ৭ হাজার ৫০২ ভোট।

রাজশাহী জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, জেলার ১৩টি পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে ৫১ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৬৮ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

রাজশাহীর ১৩টি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৪৭ হাজার ২০৭ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ২৩ হাজার ৫৬৩ জন ও পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৩ হাজার ৬৪৪ জন।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৫
এসএস/আরএইচএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।