ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

জেলা পরিষদ নির্বাচনের গেজেট প্রকাশ শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১৭
জেলা পরিষদ নির্বাচনের গেজেট প্রকাশ শুরু

ঢাকা: সদ্য অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত ২৮ ডিসেম্বর দেশের ৫৯টি জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুষ্টিয়া এবং বগুড়ার নির্বাচন পরবর্তীতে ‍অনুষ্ঠিত হবে। আর পার্বত্য জেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য বিধিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে।

ইসির উপ-সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান বাংলানিউজকে জানান, ইতিমধ্যে চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে। মাঠ পর্যায় থেকে নির্দিষ্ট ফরমে রিটার্নিং কর্মকর্তারা ফলাফল পাঠাচ্ছেন।

সে অনুযায়ী, অন্য জেলা পরিষদগুলোর নির্বাচনের গেজেটও প্রকাশ করা হবে।

২৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে ২১ জন নির্বাচিত হয়েছেন। আর ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন ৩৮ জন।

এদিকে গেজেট প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব ৩০ দিনের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে যে জেলার গেজেট যেদিন প্রকাশ হবে, সেদিন থেকেই সংশ্লিষ্ট জেলার সময় গণনা শুরু হবে। নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী সকল প্রার্থীকে জমা দিতে হবে।

জেলা পরিষদে একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সাধারণ সদস্য ও ৫ জন সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান পদে ১৪৬ জন, সাধারণ সদস্য পদে ২ হাজার ৯৮৬ জন এবং সংরক্ষিত আসনে ৮০৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। যাদের সবাইকে নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যেই ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হবে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে।

জেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্যক্তিগত ও নির্বাচনী ব্যয় হিসেবে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ লাখ টাকা, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদপ্রার্থী সর্বোচ্চ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারেন। এর চেয়ে বেশি ব্যয় করলে কিংবা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হিসাব জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ‘বেআইনি আচরণ’ করেছেন বলে দোষী সাব্যস্ত হবেন।

জেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ৭০ এর (২) উপবিধি অনুযায়ী, বেআইনি আচরণকারীকে ন্যূনতম ছয় মাস ও সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।

আইন অনুযায়ী, প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় দাখিল করবেন তার মনোনীত নির্বাচনী এজেন্ট। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত ফরম পূরণ করে হিসাব দাখিল করতে হবে। যা ইসি ওয়েবসাইট বা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছেই পাওয়া যায়।

ফরমের সঙ্গে প্রতিদিনের ব্যয়ের সকল বিল, রশিদ ও বিবরণী জমা দিতে হবে। ব্যয়ের অর্থ নির্বাচনের জন্য তফসিলি ব্যাংকে খোলা অ্যাকাউন্ট থেকে উত্তোলিত হতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনের বিবরণীর কপিও সংগ্রহ করবেন প্রার্থী বা তার এজেন্ট। এছাড়া অপরিশোধিত ব্যয়ের বিবরণী এবং সকল ব্যয়ের জন্য অর্থপ্রাপ্তির উৎসের একটি বিবরণীও জমা দিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৬
ইইউডি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।