ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন

কর্মী রাখেননি, একাই চালাচ্ছেন নির্বাচনী প্রচারণা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২১
কর্মী রাখেননি, একাই চালাচ্ছেন নির্বাচনী প্রচারণা  নুরুল হক

লক্ষ্মীপুর: ভোটের প্রচারণা মানেই দলবদ্ধ হয়ে হয়ে ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাওয়া। জনসভার আয়োজন করা।

কিন্তু এর ব্যতিক্রমি লক্ষ্য করা গেছে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের একজন সদস্য পদপ্রার্থীর প্রচারণার ক্ষেত্রে। ভোটের মাঠে তার অবস্থান এবং সুনাম থাকলেও প্রচারণা চালচ্ছেন নিজে নিজে। একা একাই ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চেয়ে নিচ্ছেন।

এ প্রার্থীর নাম হাজী মো. নুরুল হক। ভ্যানগাড়ী প্রতীকে সদস্য পদে নির্বাচন করছেন তিনি।

ভোট চাইতে গিয়ে কাউকে সঙ্গে না রাখার কারণ জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ভোটের আগে কেউ যদি আমার জন্য কাজ করে, তাহলে আমি নির্বাচিত হলে আমার কাছে তার একটা চাহিদা থাকবে। নায্য চাহিদা হলে হয়তো আমি পূরণ করতে পারবো। কিন্তু যদি কোনো অবৈধ সুবিধা নিতে চায়, তাহলে সেটা আমি দিতে পারবোনা। এজন্য আমি সঙ্গে কাউকে রাখছি না।

তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত হলে সবাইকে সমান চোখে দেখবো। কে আমার কাছের ছিল, কে আমার দূরের, সেটা যদি আমি চিন্তা করি তাহলে আমার নৈতিক অবক্ষয় হবে। আমি সৎ থাকার চেষ্টা করি। আরেক জনকে সুবিধা দিতে হলে আমাকে অসৎ পন্থার আশ্রয় নিতে হবে। সেটা আমি পারবো না।

তিনি বলেন, মানুষ আমার প্রচারণা দেখে নয়, সততা দেখে ভোট দেবে। আমি ভোটারদের কাছে যাচ্ছি। নির্বাচিত হলে ভোটের প্রতিদানে ওয়ার্ডবাসীর উন্নয়নের কাজ করে যাব।

এ প্রার্থী বলেন, এমনও দেখা যাচ্ছে, প্রার্থীর পক্ষে যারা কাজ করে, নির্বাচিত হলে ওই জনপ্রতিনিধি তার কর্মীদের প্রধান্য দেয়। এতে সাধারণ জনগণ তাদের প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। আমি মনে করি আমাদের ওয়ার্ডের সবাই আমার। কেউ দূরের বা কাছের নয়। তাই নির্বাচিত হলে জনগণের সমান অধিকার নিশ্চিত করার চেষ্টা করবো।  

তিনি আরও বলেন, ওয়ার্ডের কিছু কিছু রাস্তাঘাটের অবস্থা একেবারে খারাপ। নির্বাচিত হলে সেগুলোর দিকে নজর দেব। সরকারিভাবে যেসব ভাতা মানুষ পাওয়ার যোগ্য, ওই সব মানুষকে ভাতার আওতায় নিয়ে আসবো। অসহায়দের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণ সমহারে বন্টণ করবো।

নুরুল হক বলেন, দীর্ঘ সময় আমি একটি ব্যাংকে কর্মরত ছিলাম। সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। এখন শেষ বয়সে এসে এলাকার জনগণের জন্য কিছু করার প্রয়াসে সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছি। আমার কোনো পিছুটান নেই। জনগণের বরাদ্দে আমাকে হাত বসাতে হবে না।

২৮ নভেম্বর লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন মোট ৮ জন।

তারা হলেন- মো. কামাল হোসেন (মোরগ), হাজী মো. নুরুল হক (ভ্যানগাড়ি), হাফেজ মো. আজিজুর রহমান (ঘুড়ি), খোকন খান (টিউবয়েল), মো. বেলাল হোসেন (তালা), শাহাবুদ্দিন (ফুটবল), বশির আহম্মদ (লাটিম), মামুন হোসেন মনু (আপেল)। এদের মধ্যে বশির এবং মামুন ভোটের মাঠে অনেকটা নিষ্ক্রিয়।

এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৬৫৫ জন। রোববার (২৮ নভেম্বর) দক্ষিণ নারায়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২১
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।