গোপালগঞ্জ: ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতেই কান্নার রোল। একদল নারী দলবেঁধে ভোটারদের পা ধরে কাঁদছেন।
এমন দৃশ্যের দেখা মিলেছে পাটকেলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ নম্বর ভোটকেন্দ্রে। কেন্দ্রে প্রবেশ করতেই দেখা গেল নানা বয়সী কয়েকজন নারী কেঁদে কেঁদে ভোট ভিক্ষা করছেন। এরা সবাই মুকসুদপুর উপজেলার উজানী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য (৬,৭, ৯) প্রার্থী শিফুল বিশ্বাসের আপনজন।
প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে তারা ভোটারদের পা ধরে কান্নাকাটি করে সূর্যমুখী প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছেন। এ দৃশ্য ভোটকেন্দ্রে আসার ভোটারদের আকৃষ্ট করছে। এই ভোট ভিক্ষা দলে রয়েছেন প্রার্থীর দাদি শাশুড়ি হাসিলতা বিশ্বাস, ননদ কল্পনা সরকার, জা কবিতা সরকার, স্বামী মনিন্দ্রনাথ বিশ্বাসসহ ৮/১০ জন।
সরেজমিন দেখা যায়, ভোটকেন্দ্রের প্রবেশ পথে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছেন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী শিফুল বিশ্বাসসহ তার ৮/১০ স্বজন। সেখানে তার সূর্যমুখী প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য অভিনব প্রচারণা চালাচ্ছেন। কোনো প্রার্থী ভোট দিতে আসলে তারা তাকে ঘিরে ধরছেন। পরে একটি ভোটের আবেদন করেই প্রার্থী ও দাদি শাশুড়ি অঝরে কাঁদচ্ছেন। অন্যরাও তাদের সঙ্গে কাঁদছেন। প্রথমে যে কারোর মনে হতে পারে তাদের হয়তো কোনো স্বজন মারা গেছেন। কিন্তু কাছে গেলেই বুঝতে পারবেন এখানে অভিনব কায়দায় ভোট ভিক্ষা চলছে।
প্রার্থী শিফুল জানান, তার স্বামী একজন গরিব কৃষক। গরিব মানুষের সেবা করার জন্য তিনি প্রার্থী হয়েছেন। ভোটারদের মন জয় ও কিছুটা করুণা পাওয়ার জন্য তারা এভাবে ভোট কনফার্ম করছেন। সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে তিনি এ কাজটি করছেন। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।
প্রার্থীর স্বামী মনিন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এলাকাবাসী তার স্ত্রীকে ভোটে দাঁড় করিয়েছেন। গ্রামবাসী মিলে নির্বাচনী খরচ চালিয়েছেন। নির্বাচিত হলে তার স্ত্রী বিনা টাকায় মানুষের সেবা দেবেন।
সংরক্ষিত নারী সদস্যের তিনটি কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩৪১০। এখানে শিফুল বিশ্বাসসহ তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২১
আরএ