নড়াইল: নড়াইলের লোহাগড়ার শালনগর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সদস্য প্রার্থী মো. হামিদ ফকিরের (৪৫) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার শালনগর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামিদ ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। হামলায় তার বাম হাতের কব্জি ও কনুই থেকে ভেঙে গেছে। আগামী ২৬ ডিসেম্বর এ ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
হামলার শিকার হামিদ শালনগর ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী। তিনি নওখোলা গ্রামের বাসিন্দা। তাকে গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা বাংলানিউজকে জানান, শালনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে খোকন শেখের চায়ের দোকানে হামিদ ফকিরসহ কয়েকজন বসে চা পান করছিলেন। সেসময় ২৫-৩০ জন রড ও লাঠিসোটা নিয়ে হামিদ ফকিরের ওপর অতর্কিত হামলা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত হামিদ ফকিরের ভাগ্নে রহিম শেখ বাংলানিউজকে জানান, হামিদ ফকিরের সমর্থকরা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কাশেম ও এস এম মোস্তাফিজুর রহমানের পক্ষে কাজ করায় নৌকার প্রার্থী লাবু মিয়ার সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছে। উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সেলিম কাজীর ভগ্নিপতি নৌকার প্রার্থী লাবু মিয়া। মূলত সেলিম কাজীর ভাই, ভাতিজা ও ছেলেরা এ হামলা চালিয়েছে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কাশেম বাংলানিউজকে বলেন, ‘সেলিম কাজী জেলা ও উপজেলা বিএনপির বড় নেতা। নৌকার প্রার্থী লাবু মিয়ার আত্মীয় তিনি। সেলিম কাজী ও তার (বিএনপি) লোকজন লাবু মিয়ার পক্ষে কাজ করছে। তাই আওয়ামী লীগের ত্যাগীনেতাকর্মীরা লাবু মিয়ার পক্ষে নেই। এখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির হাতে মার খাচ্ছে।
লাবু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কাশেমের নওখোলা গ্রামের সমর্থকরা আমার এক সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। এতে উত্তেজিত হয়ে আমার লোকজন তাকে মারধর করেছে। ’
লোহাগড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা বাংলানিউজকে বলেন, ‘হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২১
আরএ