ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন

নির্বাচনে ফলাফল পাল্টে দেওয়ার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২২
নির্বাচনে ফলাফল পাল্টে দেওয়ার অভিযোগ

ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে যোগসাজশে ফলাফল পাল্টে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে উপজেলার সাতৈর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদের ফলাফল প্রকাশে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ওয়ার্ডের সদস্য পদে মাত্র পাঁচ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত ওই ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সংর্শ্লিষ্ট প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।  

সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র ছিল সেরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম। ইউপি সদস্য পদে মোরগ প্রতীক নিয়ে ৫৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আ. লতিব সেখ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. জিয়া বিশ্বাস ভ্যানগাড়ী প্রতীকে পেয়েছেন ৫৭৯ ভোট।

 জিয়া বিশ্বাস লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তার স্বাক্ষর করে সরবরাহ করা ফলাফলে ওই কেন্দ্রের সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ছয় প্রার্থীর মোট বৈধ ভোট দেখানো হয়েছে ১ হাজার ৫৬৮। কিন্তু ফলাফল শিটে ছয় প্রার্থীর পাওয়া ভোট যোগ করে পাওয়া গেছে ১ হাজার ৫৪৫ ভোট। এখানে মোট ২৩ ভোটের গড়মিল রয়েছে। আর সদস্য পদে বাতিল ৪৫ ভোটসহ প্রাপ্ত ভোট দেখানো হয়েছে ১ হাজার ৬১৩। যা ওই কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের সঙ্গে মিল রয়েছে।  

জিয়া বিশ্বাস আরও অভিযোগ করেন, কেন্দ্রে বিজয়ী মোরগ প্রতীকের এজেন্ট ঢাকার মিরপুর আনসার ক্যাম্পে কর্মরত ছুটিতে থাকা একজন সদস্যের যোগসাজশে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা গোজামিলের ফলাফল ঘোষণা করে তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে বিজয়ী করেছেন। এমনকি ফলাফল শিটে তার এজেন্টের স্বাক্ষর পর্যন্ত নেওয়া হয়নি।  

প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, আমার কেন্দ্রের একজন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার ফলাফল শিটে যোগফল ভুল হয়েছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে ওই ভুল শিটটিই কেন্দ্রে টাঙানো হয়েছিল। পরবর্তীতে আমরা সংশোধিত ফলাফল শিট রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে জমা দিয়েছি। সেখানে সদস্য পদে মোট প্রাপ্ত ১ হাজার ৫৪৫ এবং বাতিল ভোট ৬৮ দেখানো হয়েছে। তাই প্রার্থীর এমন মনগড়া অভিযোগ নিয়ে খুব মানসিক চাপে আছি।  

শুক্রবার বিকেলে সাতৈর ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবু আহাদ মিয়া বলেন, আমি ডাকযোগে বৃহস্পতিবার একটি লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। কিন্তু ভোটের মিল মারা ব্যালট পেপার বস্তায় সিলগালা হয়ে যাওয়ায় তা পুনর্গণনার কোনো ক্ষমতা বা এখতিয়ার আমার নেই।  

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।