ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

কুষ্টিয়ায় ১১ ইউপির ১০টিতেই নৌকার হার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২২
কুষ্টিয়ায় ১১ ইউপির ১০টিতেই নৌকার হার

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ১টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। বাকি ১০টিতে দলটির প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন।

তবে জয়ী প্রার্থী ১০ জনের মধ্যে আবার ৮ জনই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে।

নির্বাচনের এই ফলাফলে দলটির কোনো শীর্ষ নেতা সরাসরি মন্তব্য না করলেও সাধারণ মানুষের মতে, প্রশাসন সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন করায় ভোটের ফলাফল এমন হয়েছে।

জানা যায়, গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত লাল্টু রহমান ৯ হাজার ৪০৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) জাফর উল্লাহ ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ১২৯। মনোহরদিয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জহিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৫৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের শহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৩ হাজার ৫১৫ ভোট।

উজানগ্রামে বিদ্রোহী প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন ৬ হাজার ১৭৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলাউদ্দিন বিশ্বাস পেয়েছেন ৪ হাজার ৬৬ ভোট।  

আইলচারায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সিদ্দিকুর রহমান পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোতালেব হোসেন পান ৬ হাজার ৫১৭ ভোট। হরিণারায়ণপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেহেদী হাসান ৭ হাজার ৪২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন পেয়েছেন ৬ হাজার ৮৩২ ভোট। হাটশ হরিপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম মুশতাক হোসেন ৮ হাজার ৮৮৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুর রশিদ পান ৮ হাজার ২৯৬ ভোট।

ঝাউদিয়া ইউনিয়নে মেহেদি হাসান ৫ হাজার ৮৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী জহুরুল ইসলাম ৪ হাজার ৬২৪ ভোট পান। আলামপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আখতারুজ্জামান বিশ্বাস ৯ হাজার ৫০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী দাউদ হোসেন পান ৫ হাজার ৭৭৪ ভোট। বটতৈলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান ওরফে মিন্টু ফকির ৮ হাজার ৬৮২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি–সমর্থিত আবদুল মজিদ পান ৬ হাজার ৩২ ভোট।

আবদালপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলী হায়দার ৫ হাজার ৫২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী গোলাম মোস্তফা পান ৪ হাজার ৯২০ ভোট। পাটিকাবাড়িতে স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ রেজভি উজ্জামান ৪ হাজার ৯৩৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ সাইদুর রহমান পান ৩ হাজার ৭২৩ ভোট।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী বলেন, ফল বিপর্যয় হয়েছে, এটা মানতে হবে। তবে কেন কী কারণে এমন হলো, সেটা খুঁজে বের করা হবে। দলের ভেতর যদি কারও ইন্ধন বা কারসাজি থাকে, সেটা দেখে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।