ঢাকা: শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নে নির্বাচনে সহিংসতায় বাসার ভিতরে থাকা রুবিনা আক্তার ও তার ২ বয়সের শিশু সন্তান রাফিয়াত ইসলাম লামিসা ছোড়া গুলিতে আহত হয়েছে। তারা বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন আছেন।
বুধবার (১৫ জুন) রাতে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আলাউদ্দিন জানান, রুবিনা সহ তার শিশু সন্তান উভয়ই ছোড়া গুলিতে আহত। শিশুটির পেটে গুলি ও তার মায়ের বাম হাতে ও পেটে গুলি লেগেছে।
আহতদের নিকটতম আত্মীয় মোঃ রাজন জানান, বিকালের দিকে নির্বাচনী সহিংসতায় রুবিনা ও তার শিশু সন্তান লামিসা গুলিবিদ্ধ হয়।
তিনি আরও জানান, বাসার সাথেই নির্বাচনী কেন্দ্র। নির্বাচনী সহিংসতার সময় এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ার শব্দ শুনেছি। সেই গুলি বাসার টিনসেট ভেদ করে মা ও তার শিশু সন্তান লামিসার গায়ে লাগে।
হাসপাতালে থাকা শিশুটির খালা রাজিয়া সুলতানা জানান, লামিসার বাবা শফিউল ইসলাম ও মা রুবিনা জাজিরার সদর টিএনটি এলাকায় থাকে। রুবিনার বাবার বাড়ি এলাকার বিলাসপুর রহিমউদ্দিন মালাইমৃধা কান্দি এলাকায়। সেখানে নির্বাচন হয় আজ। তিনি সেখানকার ভোটার। এজন্য স্বামী সন্তানকে নিয়ে আজ সকালেই বাবার বাড়িতে যান। দিনের বেলাতে বাবার বাড়ির সাথেই ‘সিকদার বাড়ি এলাকার কেন্দ্রে’ ভোট দেয় রুবিনা। বিকেল ৪টায় ভোট দেওয়া শেষ হলে পরে যখন ভোট গণনা চলছিলো। তখনই সেখানে সহিংসতা শুরু হয়। পরে হঠাৎ করে ছোড়াগুলি এসে মা ও তার শিশু সন্তানের গায়ে লাগে।
এদিকে একই ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অপর গুলিবিদ্ধ ইমরানের স্বজনরা জানান, সে কৃষি কাজ করে। বাড়ি পালং উপজেলার চিতলীয়া গ্রামে। তার চাচা শ্বশুর আজহার মাদবর জাজিরা উপজেলার ওই ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী। তার সমর্থনেই ওই এলাকায় গিয়েছিলো সে। বিকেলে কেন্দ্রের বাইরে গোলযোগ শুরু হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছোড়া গুলিতে আহত হয়।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, শিশুটির পেটে ও তার মায়ের হাতে ছোড়া গুলি লাগে। ইমরানের মাথায় লাগে। তাদেরকে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৭ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২২
এজেডএস/আরইউ