ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের ৬৬তম জন্মদিন পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার নূরপুর গ্রামের তারেক মাসুদের নিজ বাড়িতে যথাযথ মর্যাদায় এ জন্মদিন পালিত হয়।
জন্মদিনে তারেক মাসুদ ফাউন্ডেশন ও সাধারণ নাগরিক সমাজের যৌথ উদ্যোগে তারেক মাসুদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
এসময় তারেক মাসুদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তারেক মাসুদের মা নুরুন্নাহার মাসুদ, তারেক মাসুদ ফাউন্ডেশন ও সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মোসায়েদ হোসেন ঢালী, সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মাসুদ, নাট্যকার হাবিবুর রহমান মাসুদ বাবু, নাগরিক সমাজের সদস্য এবং ভাঙ্গা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট একরাম আলী শিকদার, নাগরিক সমাজের সুভাষ মন্ডল, শম্পা মাসুদ, রুনা মাসুদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, অকাল প্রয়াত এই চলচ্চিত্রকারের ১৯৫৬ সালের ৬ ডিসেম্বর ফরিদপুরের ভাঙ্গার নূরপুর গ্রামে জন্ম হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হওয়ার পরই তিনি চলচ্চিত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। দেশে তিনিই প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র আন্দোলনের সূচনা করেন।
২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা নামক স্থানে বিপরীতমুখী ‘চুয়াডাঙ্গা এক্সপ্রেসের’ একটি বাসের সঙ্গে তারেক মাসুদ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মিশুক মুনীরকে বহনকারী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন। ঘটনার সময় তারা ‘কাগজের ফুল’-এর শুটিং লোকেশন দেখে ঢাকায় ফিরছিলেন।
‘মুক্তির গান’, ‘মাটির ময়না’, ‘আদম সুরত’, ‘রানওয়ে’সহ বেশ কিছু সাড়া জাগানো চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন তারেক মাসুদ।
তারেক মাসুদ ভাঙ্গার নূরপুর গ্রামের মসিউর রহমান মাসুদ-নূরুন্নাহার দম্পতির ছেলে। তার বাবা ভাঙ্গা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনিই (তারেক) সবার বড়।
শৈশবে স্থানীয় একটি মাদরাসায় কিছু দিন লেখাপড়া করেছেন তারেক মাসুদ। এরপর তিনি ভাঙ্গা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে ঢাকায় চলে যান। সেখানে নটরডেম কলেজ ও আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে পড়াশোনা শেষে পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২২
এসএ