বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী মাহমুদুন্নবীর ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর)। ১৯৯০ সালের এই দিনে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি।
১৯৩৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভারতের বর্ধমান জেলার কেতু নামক এক অজপাড়াগাঁয়ে জন্মগ্রহণ করেন মাহমুদুন্নবী। তিনি ছিলেন সহজ-সরল, মিষ্টভাষী এবং গানপাগল অভিমানী এক মানুষ। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত কেবল গানই লালন করেছেন ধ্যানে-জ্ঞানে-মননে।
গান গাওয়ার পাশাপাশি সুরকার হিসেবেও অনন্য ছিলেন। উচ্চারণ, আবেগ আর মেলোডি- এ তিনের মিশেলে মাহমুদুন্নবী ছিলেন একজন জাতশিল্পী।
১৯৭৬ সালে ‘দি রেইন’ চলচ্চিত্রে ‘আমি তো আজ ভুলে গেছি সবই’ গানটির জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
মাহমুদুন্নবীর চার সন্তান। তারা হলেন কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী, সঙ্গীতশিল্পী ফাহমিদা নবী, শিল্পী রিদওয়ান নবী পঞ্চম ও তানজিদা নবী।
মাহমুদুন্নবীরর উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে- ‘আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে’, ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘তুমি যে আমার কবিতা’, ‘আয়নাতে ওই মুখ দেখবে যখন’, ‘ও মেয়ের নাম দিব কি’, ‘এক অন্তবিহীন স্বপ্ন ছিল’, ‘আমি তো আজ ভুলে গেছি সবই’, ‘মনে তো পড়ে না কোনো দিন’, ‘সুরের ভুবনে আমি আজও পথচারী’, ‘বড় একা একা লাগে তুমি পাশে নেই বলে’, ‘তুমি কখন এসে দাঁড়িয়ে আছো আমার অজান্তে’, ‘গীতিময় এই দিন সেই দিন চিরদিন রবে কি’, ‘ওগো মোর মধুমিতা’, ‘আমি ছন্দহারা এক নদীর মতো ছুটে যাই’ প্রভৃতি।
বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২২
এনএটি