শহীদ রায়হান রচিত ও নির্মিত গবেষণামূলক ব্যতিক্রমী চলচ্চিত্র ‘মনোলোক’। চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে জমা পড়ে এটি।
ফলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে চলচ্চিত্রটি ছাড়পত্রের জন্য প্রদর্শিতও হয়নি। বোর্ডের বেশ ক’জন সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে চলচ্চিত্রটি প্রিভিউ না করে ১৭ এপ্রিল সেন্সর বোর্ডের উপ-পরিচালক মো. মঈনউদ্দীন কর্তৃক স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত রাজনৈতিক চরিত্রগুলোর সংলাপে ব্যাবহৃত তথ্য-সমূহের বিধিসম্মত দালিলিক প্রমাণ তার দপ্তরে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে।
চলচ্চিত্র প্রদর্শন না করে এমন নির্দেশ প্রদান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড নীতিমালা বহির্ভূত কিনা সে প্রশ্ন তুলেছেন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হাব মিডিয়া ইউ কে।
তবুও নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গেল ২৫ এপ্রিল বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত আর্টিকেল, গবেষণা রিপোর্টের প্রকাশিত কপিসহ ৭৪টি প্রকাশিত ও প্রচারিত আর্টিকেলের প্রিন্টেড কপি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট বরাবর উপস্থাপন করেন।
পরিচালক শহীদ রায়হানের দাবি, বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অচেতন মনে লুকিয়ে থাকা রাজনৈতিক প্রবাহ এবং স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ নির্ধারণে সংঘটিত রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহের কাল্পনিক বিশ্লেষন ‘মনোলোক’ চলচ্চিত্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলা এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে; জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার চিন্তালোকে লালিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ে আদর্শিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে; বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের কর্মকাণ্ড আর ত্যাগের মহিমায় আবর্তিত এ চলচ্চিত্র।
এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন নিপুণ, ফজলুর রহমান বাবু, দিপা খন্দকার, সমু চৌধুরী, এম এ বারী, এ কে আজাদ সেতু, জয়িতা মহালনবিশ, নেয়াজ তারেক মাসুদ মহিউদ্দিন, আশরাফুল আশীষ, আরিয়ান।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৩
এনএটি