ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

বিনোদন

ইত্যাদির শুটিংয়ে বিশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে যা বললেন হানিফ সংকেত

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৫
ইত্যাদির শুটিংয়ে বিশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে যা বললেন হানিফ সংকেত হানিফ সংকেত

ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি, প্রত্নসম্পদ, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় স্থান, আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো সম্পর্কে জানতে এবং জানাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ইত্যাদি ধারণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন একটি পর্ব ধারণ করা হচ্ছিল ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের রাজবাড়িতে (রাজা টংকনাথের বাড়িতে)।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সেখানে শুটিং চলাকালে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সেই অনুষ্ঠানে দর্শকদের চেয়ার ছোড়াছুড়ির কিছু ভিডিও ক্লিপস। গুজব ছড়িয়ে পড়ে, সেটে ভাঙচুরের জেরে নাকি শুটিং বাতিল হয়ে গেছে ইত্যাদির। তবে বিষয়টি মিথ্যা বলে আজকের জানিয়েছে ইত্যাদির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফাগুন অডিও ভিশন।

জানানো হয়েছে, ইত্যাদির প্রতি পর্বেই স্বল্প সংখ্যক দর্শকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। এবারও আট হাজার প্রবেশ পাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইত্যাদির প্রতি মানুষের ভালোবাসা থেকে দর্শকের সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় কয়েক লাখের বেশি। এ কারণেই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ইত্যাদির উপস্থাপক ও পরিচালক হানিফ সংকেত বলেন, মঞ্চে এসে শুনলাম, চারদিক থেকে তিন কিলোমিটারের মতো রাস্তা প্যাকড। পাঁচ লাখের অধিক লোক। এত মানুষকে আমি কোথায় বসতে দেব। লোকজন করল কি, বাঁশের ব্যারিকেড ছিল, তা ভেঙে ঝাঁপিয়ে পড়ল। তখন তো ম্যাসাকার অবস্থা। ওখানে নারী আছেন, শিশু আছে, আছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। এরপর হাউকাউ শুরু হয়ে গেল। পুলিশ থামানোর চেষ্টা করছে, আমিও করছি। অস্থির অবস্থা। কেউ চেয়ার-ছোড়াছুড়ি করছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এরপর কিছু সময় শুটিং বন্ধ রাখা হয়। হানিফ সংকেত বলেন, আমি তখন প্রশাসনকে ডেকে বললাম, এভাবে অনুষ্ঠান করা যাবে না। মানুষ শান্ত হোক, তারপর অনুষ্ঠান শুরু করব। আপাতত আমরা অনুষ্ঠান কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখি। আমরাও অনুষ্ঠানের দৃশ্যধারণ বন্ধ করে দিয়ে লাইট বন্ধ করে দিলাম। জানিয়ে দিলাম, অনুষ্ঠান আপাতত হচ্ছে না। আপনারা শান্ত হন। লোক যেতে তিন ঘণ্টা লেগে গেল। আসলে সেখানে সমস্যাটা হয়েছে কি, আমরা পরিস্থিতির শিকার হয়ে গেছি। আমরাও বুঝিনি যে এত লোক হবে। কর্তৃপক্ষও বোঝেনি। আমাদের জায়গাটা আসলে আরও বড় হওয়া উচিত ছিল।

হানিফ সংকেত আরও বলেন, এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এখানে কেউই মারামারি করতে আসেনি, হামলাও করতে আসেনি। দর্শকের কোনো অপরাধ আমি বলব না। কেউ যদি আমাকে ভালেবাসে, তা তো অন্যায় নয়। সেই ভালোবাসা থেকে তারা এসেছে। এরপর বসতে না পারায়, অনুষ্ঠান দেখতে না পারায়, তাদের খারাপ লেগেছে। যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল, তা এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে থেমে গেছে। আমরাও চমৎকারভাবে অনুষ্ঠান শেষ করেছি।

তবে এ ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিকমাধ্যমে নেতিবাচক খবর ও গুজবে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন হানিফ সংকেত। তিনি বলেন, আমার খুব খারাপ লেগেছে, আমাদের সো কলড কিছু মিডিয়া ইউটিউব, ফেসবুকে এবং প্রথম সারির কয়েকটি মিডিয়া এমনভাবে খবর প্রকাশ করেছে, মনে হয়েছে এখানে হামলা হয়েছে, মারামারি হয়েছে। কিন্তু কোনো মারামারি হয়নি। আমার কাছে ন্যুইসেন্স মনে হয়নি। হুলুস্থুল হয়েছে, হুড়োহুড়ি হয়েছে, বিশৃঙ্খলা হয়েছে।

হানিফ সংকেত জানান, এর আগে ময়মনসিংহের ত্রিশাল, তেঁতুলিয়াসহ কয়েকটি জায়গায় অতিরিক্ত লোকসমাগমের জন্য ইত্যাদির শুটিংয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে এবারের মতো কোনোবারই শুটিং বন্ধ রাখতে হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৫
এনএটি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।