ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

মঞ্চের স্ক্রিনে ভাসলো মুসলিম ছাত্রনেতার ছবি, বিপাকে ভারতীয় সংগীতশিল্পী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৩ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
মঞ্চের স্ক্রিনে ভাসলো মুসলিম ছাত্রনেতার ছবি, বিপাকে ভারতীয় সংগীতশিল্পী

কলকাতা: প্রায় এক বছর পরে একক মঞ্চ অনুষ্ঠান করেছেন পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতনামা সংগীতশিল্পী রূপম ইসলাম। তার এই অনুষ্ঠান নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই ভক্ত অনুরাগীদের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে।

কিন্তু শোয়ের পরেই বিপত্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাংশের পোস্ট, ‘বয়কট রূপম ইসলাম!’

কেন এই শিল্পীকে বয়কট করতে বলছেন তারা? রূপমের প্রতি এতো ক্ষোভ কেন?

সমস্যার সূত্রপাত গত ১০ জুনে রূপম ইসলামের মঞ্চসজ্জা নিয়ে। এদিন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার নিউ বারাকপুরের কৃষ্টি মঞ্চে ছিল রূপম ইসলামের একক অনুষ্ঠান। রূপমের বাকি অনুষ্ঠানের মতোই উপচে পড়েছিল দর্শকদের ভিড়। আর তখনই গানের মাঝে হঠাৎই মঞ্চের স্ক্রিনে ভেসে ওঠে উমর খালিদের ছবি।

সামাজিক মাধ্যমে দেখা যায়, রূপম যে মঞ্চে বসে গান গাইছেন, তার পেছনেই স্ক্রিনে বড় করে ভাসছে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা উমর খলিদের উপরে হাত তোলা ছবি। একইভাবে ফেসবুকে দেখা যায় রূপমেরও হাত তোলা। সম্ভবত কোনো প্রতিবাদের গান গাইছিলেন তিনি। ছবির এমনই একটি ফ্রেম ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। সেই ছবি থেকেই শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাংশর দাবি, যে উমর খলিদ ভারতকে টুকরো টুকরো করার স্লোগান তুলে রাষ্ট্রদ্রোহের সাজায় প্রায় ১ হাজার দিনের বেশি সময় জেলবন্দি। সেই উমর খালিদের ছবি নিজের মঞ্চে বড় করে ব্যবহার করে রূপম আদতে বিচ্ছিন্নতাবাদকে প্রশ্রয় দিয়েছেন।

সেই ছবি ও খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই বিপাকে পড়েছেন রূপম ইসলাম। এই সমস্ত অভিযোগের ভিড়েই উঠেছে রূপম ইসলামকে বয়কটের দাবি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রলড হচ্ছেন নিয়মিত।  

এ বিষয়ে রূপম ইসলাম বলেন, বিচার ব্যবস্থার উপরে সম্মান রেখেই সেদিন মঞ্চে যা বলেছি, এখনও তাই বলছি, আমি উমর খালিদের বিচারের দাবি করছি। শুধু বিচার নয়, ন্যায়বিচার চাই।

প্রসঙ্গত, দিল্লির এক দাঙ্গা মামলায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে জেল হেফাজতে রয়েছেন উমর খালিদ। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা উমর খালিদ। ইউএপিএ অ্যাক্ট, ২০২০ সালের দিল্লি দাঙ্গায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছিল উমরসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। জেলে এক হাজার দিনেরও বেশি সময় বন্দি উমর। বিচারের আগে অনেকেই তাকে ‘দেশদ্রোহী’র তকমা দিয়েছেন। যদিও রূপম চায় বিচারের পর তাকে এ তকমা দেওয়া হোক।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ১৪ জুন, ২০২৩
ভিএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।