ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে এখন যে গীতিকবির সর্বাধিক গান!

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৪
ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে এখন যে গীতিকবির সর্বাধিক গান!

এটা বিস্ময়ের বিষয়, গর্বেরও। একজন গীতিকবির তিনটি গান একসঙ্গে ইউটিউবের সেরা দশ ট্রেন্ডিংয়ে অবস্থান করছে! যিনি মূলত গত বছর থেকে সমৃদ্ধ সংগীত ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছেন সিনেমার মাধ্যমে।

যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, বিশ্বাস হৃদয়ে/ হবেই হবেই দেখা, দেখা হবে বিজয়ে- রিয়েলিটি শোয়ের জন্য সুপারহিট গানটি শুধু লেখার জন্য লেখেননি গীতিকবি আসিফ ইকবাল। বরং সেটি যেন প্রমাণ করে চলেছেন নিজের কাজ দিয়ে অক্ষরে অক্ষরে।

গান লেখার চার দশকের ক্যারিয়ারে সিনেমার জন্য গান লেখা শুরু করেছিলেন ২০১৮ সালে। ‘ঢাকা অ্যাটাক’, ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’, ‘ইউটার্ন’ আর ‘যদি একদিন’ সিনেমার জন্য লিখেছেন। তবে ২০২৩ সালে শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’ আর মাহফুজ আহমেদের ‘প্রহেলিকা’র জন্য লিখে রাতারাতি তিনি এসেছেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

সেই ধারায় এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া সবচেয়ে বড় সিনেমা ‘রাজকুমার’র টাইটেল গানও তারই লেখা। যে গানটি মুক্তির পর থেকেই অবস্থান করছে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে বাংলাদেশের এক নম্বর হিসেবে। এখানেই শেষ নয় আসিফ ইকবালের অগ্রযাত্রা।

২১ এপ্রিল ইউটিউব ট্রেন্ডিং তালিকায় দেখা গেছে আসিফ ইকবালের লেখা আরও দুটি গান অবস্থান করছেন সেরা দশটি গানের মধ্যে। এরমধ্যে ৭ নম্বরে রয়েছে ইমরান ও তৃষার গাওয়া স্বাধীন গানচিত্র ‘ভালোবাসি বলে যাও’। যা এই ঈদে প্রকাশ হয়েছে ইমরানের নিজের ইউটিউব চ্যানেলে। আর ট্রেন্ডিংয়ের ৯ নম্বর তালিকায় অবস্থান করছে গত বছরের সুপারহিট গান ‘ও প্রিয়তমা’। ও প্রিয়তমার আবার ইউটিউব ট্রেন্ডিং এ ফেরা এক বছরেরও বেশী পরেও গানটি যে এখনও মানুষের মুখে মুখে ফিরছে - তাই জানান দেয়।

এই ঈদে সিনেমা ও অডিও মিলে প্রায় শতাধিক গান প্রকাশ হয়েছে ইউটিউবে। এরমধ্যে সেরা দশ-এ আসিফ ইকবাল একাই অবস্থান করছেন তিনটি গানে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শিল্পী-সুরকারের পাশাপাশি গান লেখার মধ্যেও যে মুন্সিয়ানা রয়েছে, সেটিই প্রমাণ করছে এই ট্রেন্ডিং লিস্ট। গীতিকবি হিসেবে আসিফ ইকবাল তার যোগ্যতা জানান দিলেন নতুন করে।

এ প্রসঙ্গে আসিফ ইকবাল বলেন, আমি শুধুই একজন গীতিকবি। শিল্পী বা সুরকার নই। ফলে এই বহুমাত্রিক সময়ে শুধু গান লিখে নিজেকে প্রমাণ করাটা বেশ কঠিন। সেই কঠিন সময়ে ট্রেন্ডিংয়ে নিজের লেখা তিনটি গান একসঙ্গে দেখলে নিজেরই অবাক লাগে। চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। চার দশক ধরে আমার গান লেখার অভিজ্ঞতা। শ্রোতাদের ভালোবাসা ছাড়া এতদিন টেকা যেতো না। তবে গত বছর থেকে সিনেমায় নিয়মিত হওয়ার পর, গান লেখার আনন্দটা যেন নতুন করে অনুভব করছি। এই গুড-ফিল অনুভূতিটা বাঁচিয়ে রাখতে চাই। ধন্যবাদ জানাতে চাই, আমার সুরকার, শিল্পী, নির্মাতা ও নায়ক-নায়িকাদের। কারণ, সিনেমার কাজটি আসলেই টিমওয়ার্ক। ’

চার দশকে আসিফ ইকবাল লিখেছেন ৫ শতাধিক গান। যার প্রায় সবগুলোই সিনেমার বাইরে, রেডিও, টেলিভিশন আর অডিওতে। তার লেখা প্রথম গান প্রকাশ হয় ১৯৮৪ সালে বিটিভিতে। সৈয়দ মনসুরের সুরে বন্ধন শিল্পী গোষ্ঠীর জন্য লেখা সেই গানটির নাম ‘অনেক তো বলেছি’।

এরপর আর থামেননি। লিখেছেন হাতভরে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জেমসের ‘অনন্যা’, নকীব খানের ‘স্বপ্ন জড়ানো’, নকীব-সামিনা চৌধুরীর ‘তুমি এলে পায়ে পায়’, আইয়ুব বাচ্চুর ‘ভাঙা মন’, ‘বহুদূর যেতে হবে’, ‘পরিত্যক্ত ডায়েরিটা’, আশিকুজ্জামান টুলুর ‘এই দূর পরবাসে’, সামিনা-ফাহমিদা নবীর ‘আমার সকল সুখে বুবু’, নিলয়ের ‘হ্যাপি তোকে মনে পড়লে’, মাহাদির ‘সুনীল বরুনা’, ‘মেঘ হয়ে কাঁদো বলে’, ‘অন্যরকম’, মাহাদি-এলিটার ‘হৃদয়ের ঝড়ে’, ‘নিঝুম রাত’, ‘ভোরের শিশির’, সোয়েব-এলিটার ‘ঘুম হয়ে আজ থাকতে যদি’, ন্যানসির ‘আমি ছুঁয়ে দিলেই’, মিনারের ‘কী তোমার নাম’, ‘বাড়াবাড়ি’, ‘একটুখানি’, ‘বাবা মায়ের জন্য’ প্রভৃতি।

বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৪
এনএটি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।