চলচ্চিত্রের সোনালি যুগের তারকা দম্পতি সোহেল চৌধুরী ও পারভীন সুলতানা দিতি। দুজনেই প্রয়াত।
এদিকে খবর প্রকাশ হয়েছে, দিতি চাইতেন না, মেয়ে মিডিয়ায় আসুক। মায়ের প্রতি ভালোবাসা থেকে সেই লামিয়া ‘মনে কষ্ট নিয়ে’ শুরু করতে যাচ্ছেন সিনেমা।
এমন খবর লামিয়ার দৃষ্টি এড়ায়নি। খবরটি দেখার পর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে পোস্টও দিয়েছেন লামিয়া।
স্ট্যাটাসের শুরুতে লামিয়া চৌধুরী লেখেন, আমি আজকে একটা নিউজ আর্টিকেলে দেখলাম আমাকে নিয়ে হেডলাইন যে, আমি নাকি মনে কষ্ট নিয়ে সিনেমায় আসছি। এই মিস লিডিং হেডলাইন দেখে আমি মনে কষ্ট নিয়ে চলে গেলাম আমার মায়ের জন্মস্থান সোনার গাঁয়ে। সেখানে মায়ের লিচু বাগানের গাছে ঝাঁকে ঝাঁকে লিচু দেখে মন আবার ভালো হয়ে গেল।
নির্মাতা হিসেবে রুপালি জগতে আসার তথ্য নিশ্চিত করে লামিয়া লেখেন, এখন আসল বিষয়টা হচ্ছে যে, আমি অভিনেত্রী হিসেবে নয়, বরং একজন নির্মাতা হিসেবে আসছি। সঠিক সময় আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
১৯৮৬ সালে সোহেল চৌধুরী অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতিকে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান আছে। ১৯৮৭ সালে জন্ম হয় লামিয়া চৌধুরীর এবং ১৯৮৯ সালে এ দম্পতির ছেলে দীপ্ত চৌধুরীর জন্ম হয়। নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে দিতি ও সোহেল চৌধুরীর দাম্পত্য জীবনের বিচ্ছেদ ঘটে।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। অন্যদিকে, দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে ২০১৬ সালের ২০ মার্চ পরপারে পাড়ি জমান দিতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২৪
এনএটি