সময়টা ভালো যাচ্ছে না চিত্রনায়িকা শবনম ইয়াসমিন বুবলীর। চিত্রতারকা শাকিব খানের বলয় থেকে বেরিয়ে ভাগ্য সহায় হচ্ছে না তার।
টানা কয়েক ঈদেই তার অভিনীত সিনেমা মুক্তি পাওয়ায় দারুণ ফর্মে ছিলেন এ নায়িকা। কিন্তু সিনেমাগুলো প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানতে পারেনি।
আবার আগ্রহ থাকলেও বুবলীর কারণে অনেকে সিনেমাগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। যার প্রমাণ এবারের ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রযোজক ও পরিচালক মো. ইকবাল পরিচালিত ‘রিভেঞ্জ’ সিনেমা। এই সিনেমার প্রচারণায় অংশ না নেওয়া এবং দর্শকের অনীহার কারণে নির্মিতব্য ‘বিট্রে’ সিনেমা থেকে বুবলীকে বাদ দিয়েছেন ইকবাল। সিনেমাটির ৪০ শতাংশ শুটিং অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে পরিচালক ইকবাল বুবলী ও রোশানকে সিনেমাটি থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এমন খবরের পর আরও এক সিনেমা থেকে বাদ পড়লেন বুবলী। পরিচালক জসিম উদ্দিন জাকিরের ‘মায়া- দ্য লাভ ২’ থেকে বাদ পড়লেন তিনি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাকির নিজেই।
এরই মধ্যে সিনেমাটির ৭০ শতাংশ শুটিং শেষ হয়েছে বলে জানান এই পরিচালক। বাকি অংশের শুটিং করার প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন। তবে রোজার ঈদের পর থেকে বুবলীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে তাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে জসিম উদ্দিন জাকির বলেন, ‘মায়া- দ্য লাভ ২’ সিনেমার আর মাত্র সাত দিনের শুটিং বাকি। তাহলে পুরো সিনেমার কাজ শেষ। তবে ‘মায়া- দ্য লাভ’ মুক্তির সময় থেকে প্রচারণায় পাচ্ছি না বুবলীকে। সিনেমাটি মুক্তি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আগের দিন তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়ে দেখি সে আমাকে ফেসবুক থেকে আনফ্রেন্ড করে দিয়েছেন। হঠাৎ আনফ্রেন্ড করার কারণ বুঝতে পারছি না। তবে এ নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই।
যোগ করে তিনি আরও বলেন, সিনেমার প্রচাণার জন্য তাকে অনেক ফোন করে পাইনি। তারপর বাকি অংশের শুটিংয়ের জন্য অসংখ্যবার ফোন করি। কিন্তু তার সাড়াই পাচ্ছি না। তার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছি না। শেষ পর্যন্ত তাকে ছাড়াই বাকি কাজ অন্য শিল্পীদের নিয়ে শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বুবলী ছাড়াও আরও কয়েকজন শিল্পী এ সিনেমা থেকে বাদ পড়ছেন।
উল্লেখ্য, গেল রোজার ঈদে ‘মায়া- দ্য লাভ’ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। তবে সিনেমাটি শেষ করতে অনেক কাঠখড় পোহাতে হয় নির্মাতাকে। সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনিসুর রহমান মিলন, সাইমন সাদিক, জিয়াউল রোশান ও শবনম ইয়াসমিন বুবলী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৪
এনএটি