কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে রূপ নেওয়া অসহযোগ আন্দোলনে গণপ্রতিরোধের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে গিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এর পদত্যাগের আগে দেশজুড়ে ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভ গড়ে ওঠে।
সামাজিকমাধ্যমে কিংবা রাজপথে তারকাদের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। সেসব তারকার মধ্যে অন্যতম ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।
তবে আন্দোলনে রাজপথে নেমে কম হুমকি-ধমকি আসেনি অভিনেত্রীর কাছে। শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের গানে শামিল হওয়ায় বাঁধনের মুঠোফোন, মেসেঞ্জার গিজগিজ করেছে হুমকি-ধমকিতে। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি জানিয়েছেন বাঁধন।
তিনি, আমি যেদিন থেকে ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনে মাঠে নামি, ওই দিন থেকেই আমাকে ফোনে, খুদে বার্তায়, ফেসবুকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিল। এসিডও মারতে চেয়েছে। আমি ভয় পাইনি। কারণ, একসঙ্গে আন্দোলনের দিনগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের চোখে-মুখে যে আগুন দেখেছি, আমি নিজেই তাদের কাছ থেকে সাহস সঞ্চার করেছি।
কয়েকজন সহশিল্পীর আচরণও ছিল অপ্রত্যাশিত। বিষয়টি উল্লেখ করে বাঁধন বলেন, বলতেও খুব খারাপ লাগে, সহশিল্পীদের মধ্যে অনেকের সঙ্গে আমার কাজও হয়েছে, তারা ছাত্রদের পক্ষে মাঠে তো ছিলেনই না, উল্টো আমাকে ভয় দেখিয়েছেন, ব্যঙ্গবিদ্রূপ করেছেন। তাদের এমন কাজে কষ্ট পেয়েছিলাম। তবে তাদের প্রতি আমার এখন কোনো বিদ্বেষ নেই। প্রতিহিংসা মানুষ, দেশকে পিছিয়ে দেয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গেল ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়। নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে ১৭ সদস্যের এই অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়।
বর্তমান সরকারের কাছে অনেক প্রত্যাশা অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের। নারীবান্ধব, বৈষম্যমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের আশা রাখেন এই অভিনেত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২৪
এনএটি