ঢাকা: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও একুশে পদকজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রোববার (১১ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বাংলানিউজকে তার মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন চাষী নজরুল ইসলামের ব্যক্তিগত সহকারী শাহাদাত সেতু।
বর্তমানে চাষী নজরুল ইসলামের মরদেহ কমলাপুর জসিম উদ্দিন রোডের বাসভবনে নেওয়া হবে।
এরপর সোমবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় তাকে এফডিসিতে নেওয়া হবে, এফডিসি থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে নেওয়া হবে। সেখানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত সহকারী শাহাদাত সেতু।
দীর্ঘদিন ধরেই চলচ্চিত্র নির্মাণ থেকে দূরে ছিলেন এই পরিচালক। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে আলিশা-ইমনকে নিয়ে ‘অন্তরঙ্গ’ নামের সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই বছরের মে মাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তখন জানতে পারেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন।
১৯৬১ সালে ফতেহ লোহানীর ‘আছিয়া’ সিনেমার সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রে পদার্পন করেন চাষী নজরুল ইসলাম। তারপর পরিচালক ওয়াহেদ-উল-হকের সঙ্গেও বেশ কিছুদিন সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন।
চাষী নজরুল ইসলাম নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র। তারপর তিনি ‘সংগ্রাম’, ‘ভালো মানুষ’, ‘বাজিমাত’, ‘বেহুলা লখিন্দর’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ‘শিল্পী’, ‘হাছন রাজা’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘শাস্তি’, ‘সুভা’র মতো প্রশংসিত চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। ১৯৮২ সালে বুলবুল-কবরী-আনোয়ারাকে নিয়ে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে তিনি তৈরি করেছেন কালজয়ী ছবি ‘দেবদাস’। ২০১৩ সালে শাকিব খান-অপু বিশ্বাস-মৌসুমীকে নিয়ে নতুন আঙ্গিকে ছবিটি পরিচালনা করেন তিনি।
১৯৮৬ সালে ‘শুভদা’ এবং ১৯৯৭ সালে ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান চাষী নজরুল ইসলাম। ২০০৪ সালে তিনি ভূষিত হন একুশে পদকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫, আপডেট ০৭০৬, ০৯১৬