২০১৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে গাজী রাকায়েত পরিচালিত ‘মৃত্তিকা মায়া’ সর্বাধিক ১৭টি বিভাগে পুরস্কার জিতেছে। এর মধ্যে একাই পাঁচটি পুরস্কার জিতেছেন তিনি।
প্রথমবার গাজী রাকায়েত পুরস্কার গ্রহণের সময় অন্যান্য বিজয়ীর পুরস্কার নেওয়ার মতোই প্রতিক্রিয়া ছিলো আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে। অর্থাৎ সাধারণ করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয় তাকে। কিন্তু দ্বিতীয়বার থেকেই সোরগোল পড়ে যায় মিলনায়তনজুড়ে। প্রধানমন্ত্রী অভিব্যক্তিতেও এক ধরনের বিস্ময় ধরা পড়ে। এক আসরে একই শিল্পীর এতো পুরস্কার পাওয়ার নজিরবিহীন ঘটনা দেখা গেলো এবার।
গাজী রাকায়েত যে বিভাগগুলোর জন্য পুরস্কার পেয়েছেন তা হলো- সেরা চলচ্চিত্র প্রযোজক, সেরা পরিচালক, সেরা কাহিনীকার, সেরা চিত্রনাট্যকার, সেরা সংলাপ রচয়িতা। এর মধ্যে ‘মৃত্তিকা মায়া’ প্রযোজনা করার জন্য সেরা চলচ্চিত্র প্রযোজক হয়েছেন ফরিদুর রেজা সাগরও।
পুরস্কার গ্রহণ শেষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নিতে মঞ্চে তার পেছনে অন্য বিজয়ীদের পাশাপাশি বসার কথা ছিলো গাজী রাকায়েতের। কিন্তু এতোবার পুরস্কার পাওয়ায় তিনি বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারেননি! এমনও হয়েছে চেয়ার বসা মাত্রই ফের তার নাম ঘোষণা করা হয়েছে বিজয়ী হিসেবে। ফটোসেশনে বিজয়ীরা ট্রফি হাতে আলোকচিত্রীদের সামনে দাঁড়ান। কিন্তু রাকায়েতকে দুটি হাতে নিয়ে বাকি তিনটি ট্রফি চেয়ারেই রাখতে হলো।
গাজী রাকায়েতের পাঁচটি পুরস্কারের পাশাপাশি ‘মৃত্তিকা মায়া’ আরও একডজন বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে। এগুলো হলো- সেরা অভিনেতা (তিতাস জিয়া), সেরা অভিনেত্রী (শর্মীমালা), সেরা পার্শ্ব অভিনেতা (রাইসুল ইসলাম আসাদ), সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী (অর্পণা), সেরা খল অভিনেতা (মামুনুর রশীদ), সেরা সম্পাদনা (মো: শরিফুল ইসলাম রাসেল), সেরা শিল্প নির্দেশক (উত্তম গুহ), সেরা চিত্রগ্রহণ (সাইফুল ইসলাম বাদল), সেরা শব্দগ্রাহক (কাজী সেলিম), সেরা পোশাক ও সাজসজ্জা (ওয়াহিদা মল্লিক জলি), সেরা রূপসজ্জা (আলী বাবুল)।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজয়ীদের মধ্যে ২০১৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পে গৌরবোজ্জ্বল ও অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার মোট ২৫টি শাখায় ২৯ জন শিল্পী ও কলাকুশলীকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময় : ২০০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৫