মুম্বাইয়ের জহুরা রুইয়া পার্কে আটতলা বিল্ডিংয়ের ছ’তলায পাশাপামি দু’টি ফ্ল্যাট। ফ্ল্যাট নম্বর ৬০১ এবং ৬০২অ শনিবার গভীর রাতের অগ্নিকান্ডে তৃনমুল সংসদ ততা অভিনেত্রী মুনমুন সেনের কন্যা রিয়ার দু’টি ফ্ল্যাটের সবকিছুই পুড়ে ছাই।
অগ্নিকান্ডের সময মেযের সঙ্গেই ছিলেন মুনমুন সেন এবং তার স্বামী ভরত দেব বর্মা। তারা সকলেই সুরক্ষিত আছেন। ঘটনার পরে টুইট করে রিয়ার প্রতিক্রিয়া, ‘আগুনে আমাদের দু’টো ফ্ল্যাপের সবকিছু পুড়ে ঝাই হয়ে গিয়েছে! দমকলের ইঞ্জিন এল এক ঘণ্টা পরে! এই দেশের কথা ভেবে লজ্জা হয়!’ মুনমুন সেনের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, গভীর রাতে ধোঁয়ায় আচমকা ঘর ভরে যায়। ঝুঁকি না নিয়ে মা এবং বাবার সঙ্গে বিল্ডিংয়ের সিঁড়ি নীচে নেমে আসেন রিয়া। এরই মধ্যে খবর দেওয়া হয় দমকলে। তবে দমকলের ইঞ্জিন রুইয়া পার্কে যতক্ষনে পৌঁছায়, ততক্ষনে আগুনের গ্রাসে চলে গিয়েচে দু’টি ফ্ল্যাট। আগুনের তিব্রতা দেখে দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেই বিল্ডিংয়ের আবাসিকদের নীচে নামিয়ে আনেন। আবাসিকদের কেউ কেউ সেন পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে যান। মুখে স্মিত হাসি বজায় রেখেই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করেছেন মুনমুন। অগ্নিকান্ডের পরে ফ্ল্যাট দু’টিতে থাকার মতো অবস্থা ছিল না। আপাতত মুম্বাইয়ে এক বন্ধুর বাড়িতে মেয়ে এবং স্বামীর সঙ্গে আছেন তৃণমূল সাংসদ।
রিয়া দমকলের দেরিতে পৌঁছনো নিয়ে টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও, বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (এমসিজিএম) কতৃপক্ষ কার্যত সেই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন। রবিবার এমসিজিএম এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাত ২টার দিকে রুইয়া পার্কে আগুন লাগার খবর তারা জানতে পারেন। তার দাবি, সঙ্গে সঙ্গে তিনটি ইঞ্জিন, তিনচি জলের ট্যাংক এবং একটি অ্যাম্বুলেন্স জহুরা উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত দমকল আধিকারিক অভয় কালে বলেন, “দু’টি ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ফ্ল্যাট থেকে আগুন যাতে অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে সেটাই আমাদের প্রথমিক লক্ষ্য ছিল। আমরা তা করতে সক্ষম হয়েছি। ” রাজপরিবারের বধূ মুনমুনের দামি আসবাবপত্র, সামগ্রী সংগ্রহের শখ রয়েছে। বালিগঞ্জের ফ্ল্যাটের মতো মুম্বাইয়ের ফ্ল্যাটেও বেশ কিছু দামি মূল্যবান আসবাবপত্র, সামগ্রী ছিল। আগুনে সে সব কিছুই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। দমকল আধিকারিক জানান, আসবাবপত্র ছাড়াও ফ্ল্যাটে প্রচুর বৈদ্যুতিক সামগ্রী ছিল। ফলে এক ফ্ল্যাট থেকে আরেক ফ্ল্যাটে সহজেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকান্ডের কারণ সম্পর্কে দমকলের তরফ থেকে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। প্রথমিক তদন্তের পরে দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। দমকলকর্মীদের একাংশের বক্তব্য, শোওয়ার ঘরে প্রথমে ধোঁয়া দেখা গিয়েছিল। এসি’র বিদ্যুৎ লাইনে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার সম্ভাবনা তাই উড়িয়ে যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৫
বিএসকে