বাংলাদেশের বিভিন্ন নদী অঞ্চলের চোখজুড়ানো সৌন্দর্য তুলে ধরে তৈরি হলো ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’। বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সাড়ে তিন মিনিট ব্যাপ্তির প্রচারণামূলক ভিডিওচিত্রটি নির্মাণ করেছেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম।
বাংলানিউজ : ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ নিয়ে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
গিয়াসউদ্দিন সেলিম : সবাই পছন্দ করছে, তাই ভালো লাগছে। আমাদের বাংলাদেশটা আসলে কতোটা সুন্দর, তারই একঝলক আছে এখানে। ‘ল্যান্ডস অব রিভার’ বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে বানানো ভিডিওটা সব পর্যটকের মন কাড়বে অনায়াসে।
বাংলানিউজ : ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’-এর তৃতীয় কিস্তি এটি। এবার কি দেখাতে চেয়েছেন আপনারা?
গিয়াসউদ্দিন সেলিম : বাংলাদেশের নদ-নদীর সৌন্দর্য ও নদীর ওপর নির্ভরশীল মানুষের জীবন-জীবিকা তুলে ধরা ছিলো আমাদের মূল লক্ষ্য। কর্ণফুলীর তীরের সূর্যাস্ত থেকে সুন্দরবনের নৌবিহার, জেলেদের সঙ্গে মাছ ধরার আনন্দ, ঝরনার জলে ভেজা এমন সব অপরূপ দৃশ্য রয়েছে এতে।
বাংলানিউজ : দৃশ্যধারণের কাজ শুরু হয় কোন জায়গা থেকে?
গিয়াসউদ্দিন সেলিম : মানিকগঞ্জ থেকে আমরা কাজ শুরু করি। এরপর চাঁদপুর, টাঙ্গুয়ার হাওড়, সুন্দরবন, বান্দরবান, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, আত্রাই, কালীগঙ্গার মতো অনেক নদ-নদীতে দৃশ্যধারণ করেছি।
বাংলানিউজ : হল্যান্ডে দুই পর্যটককে কীভাবে নির্বাচন করা হলো?
গিয়াসউদ্দিন সেলিম : আমরা অনেক খুঁজে খুঁজে তাদেরকে পেয়েছি। এক মাস ধরে খুঁজেছি। আমাদেরকে সহযোগিতা করেছেন হানিফ সংকেত। কার্লো ও মাউড বাস্তবে প্রেমিক-প্রেমিকা। তাদের পাশাপাশি ভিডিওটিতে অভিনয় করেছেন আমাদের দুই অভিনেত্রী স্বাগতা ও শর্মীমালা।
বাংলানিউজ : পুরো কাজটা শেষ করতে কতদিন লেগেছে?
গিয়াসউদ্দিন সেলিম : গত বছরের আগস্টে আমরা কাজ শুরু করি। ঘোরাফেরাসহ মোট ২২ দিন কাজ করতে হয়েছে। এরপর পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আরও দুই-আড়াই মাস লেগেছে। এজেন্সি হিসেবে কাজ করেছে মার্কেট এজ লিমিটেড। শুটিং-পরবর্তী পুরো কাজও হয়েছে বাংলাদেশে। তাই এটাকে ১০০ ভাগ বাংলাদেশি ভিডিও বলতে পারেন।
বাংলাদেশ সময় : ১৭৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৫
জেএইচ