মাতৃত্বের কারণে নেওয়া বিরতি শেষে চলচ্চিত্রাঙ্গনে ফেরায় ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। কিন্তু এবার তাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
শিশু অধিকার আন্দোলন কর্মীদের মতে, বিজ্ঞাপনটিতে ঔপনিবেশিক যুগের বর্ণবিদ্বেষ দেখানো হয়েছে। ঐশ্বরিয়াকে তারা এ নিয়ে একটি খোলা চিঠিও লিখেছেন। সঙ্গে কয়েকটি ছবিও দেখিয়েছেন তারা। প্রতিটিতেই সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতকের ইউরোপীয় নারীদের রানীর বেশে দেখা যাচ্ছে। প্রত্যেকের পাশেই এক বা একাধিক কৃষ্ণাঙ্গ শিশু। কেউ কেউ ওই নারীদের খাবার এগিয়ে দিচ্ছে, কেউ মাথার ওপর ছাতা ধরেছে। ওই ছবিগুলোর উদাহরণ দিয়ে চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘এই বিজ্ঞাপন দেখে মনে হচ্ছে আমরা ঔপনিবেশিক আমলে ফিরে যাচ্ছি!’
ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের প্রভাবশালী তারকা এবং জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হয়েও ঐশ্বরিয়া কীভাবে এমন একটি কাজ করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গয়নার পণ্যদূত হিসেবে তিনি যেন এ ধরনের বিজ্ঞাপন না করেন, সেই আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
গত সপ্তাহে চেন্নাইয়ে ওই গয়নার দোকান উদ্বোধন করেন অমিতাভ বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া। ১৭ এপ্রিল ভারতের একটি দৈনিকে ঐশ্বরিয়ার ছবিটি ছাপা হয়। এরপরই বিভিন্ন শিশু অধিকার রক্ষা সংগঠন, মহিলা সংগঠন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মকর্তারা ঐশ্বরিয়া ও ওই গয়না সংস্থার উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি লিখে দাবি করেন, বিজ্ঞাপনটি যেন আর প্রচারণায় ব্যবহার না করা হয়। তারা লিখেছেন, ‘এখানে শিশুশ্রমকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে। শিশুটিকে কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে দেখানোটাও বর্ণবিদ্বেষমূলক। ’
এদিকে এক বিবৃতিতে ঐশ্বরিয়া দাবি করেন, শুটিংয়ের সময় এসব জানতেন না তিনি। তখন এই বালকটি কোথাও ছিল না। নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে মূল ছবিটি ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে পাঠিয়েছেন ৪১ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী। তার দাবি, ‘এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ধন্যবাদ। শুটিংয়ের সময় তোলা ছবিটি বিবৃতির সঙ্গে দেওয়া হলো। শুটিংয়ের পর বিজ্ঞাপনের ক্রিয়েটিভ টিম এগুলো কারিকুরি করে সাজিয়েছে। আশা করি, ছবিটি বদলে ফেলা হবে। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৫৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৫
বিএসকে/জেএইচ